পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So ਚ% বিবাহ নির্বিঘ্নে চুকিয়া গেল। বিমলবাবু কলিকাতায় আসিয়াছেন। সবিতা প্ৰস্তুত হইয়াছেন বিমলবাবুর সহিত তীর্থভ্ৰমণে বাহির হইবার জন্য । আগামী কল্য তঁাহারা রওনা হইবুেঢ়া-র পুরাতন দরওয়ান মহাদেও ব্যতীত বিমলবাবু দাসী ও রাঁধুনী সঙ্গে লওয়ার ব্যবস্থা করিয়াছেন। রাখালকে ডাকাইয়া সবিতা তাহার হাতে ব্ৰজবিহারীবাবুর শিলমোহরকরা গহনা সমেত বাক্সটি তুলিয়া দিয়া বলিলেন,-এ গহনা রেণুরু। সে না। নিভে চায়, সংসারে মাতৃহীন মেয়েদের মধ্যে এ তুমি বিলিয়ে দিয়ে রাজু। এ সমস্ত আটকে রেখেছিলাম। যার জন্য, সে-ই যখন চরম দারিদ্র্য মাথায় তুলে নিল, আমি আর এ বোঝা ব’য়ে মারি কেন ? দেড় লক্ষ টাকা দামের যে সম্পত্তি আমার নামে ছিল-সে কোেনা হয়েছিল রেণুৱাই বাপের উপার্জনের টাকায়। সে সম্পত্তি রেণুর নামে ট্রান্সফার করে রেজেক্ট্রী করে দিয়েচি । এই নাও সেই দলিল ও কাগজপত্র । সে না গ্রহণ করে, এ সম্পত্তির যে ব্যবস্থা তুমি নিজে ভাল বুঝবে, তাই কোরো। আর এই হাজার কয়েক টাকার কোম্পানীর কাগজ ও আমার এই হার, বালা, চুড়ি, যা বিয়ের সময় আমার বাপের দেওয়া। এ আমি, তোমার ঘর করতে যে আসবে, অর্থাৎ আমার বৌমাকে-আমার যৌতুক দিয়ে গেলাম। এ তার শ্বাশুড়ীর আশীৰ্বাদী । ফিরিয়ে দিয়োনা বাবা । সারদা দূরে দাড়াইয়া রাখালের মুখের পানে চাহিয়া মূঢ় হাম্ফিল ।