পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের দুর্ঘরায় 8 оо কণ্ঠে কহিলেনু, ঘাতুন-বীে, এ মদের নেশা যেন আর না ছোটে এই কামনাই মোগো ।। ২ সবিতা কঠিন কণ্ঠে কহিলেন, তোমার মেয়ে ? আমার-রেণু ? —কে আমার মেয়ে ? আর আমিত্বের মোহ রেখোনা নতুন-বোঁ । এখানে সাির্তই তুহু তুহু। ‘আমার’ বলে কিছুই নেই। সেই একমাত্র “আমি” বুজুনন্দন শ্ৰীকৃষ্ণই এখানে সূত্র। রেণুকে তারই চরণে অর্পণ করেচি । गुडनिन ওকে নিজের বলে ভেবেচি, ভাবনায় হয়ে পড়েচি দিশেহারা। এবার দিনদুনিয়ার মালিক বিনি, তার হাতেkতোমার রেণুকে তুলে দিয়ে-নিশ্চিন্তু হয়েছি।__তিনি যে ব্যবস্থা করবেন, কারুর সাধ্য cनह রদ করবার, L-গ্লুরোনা কেন ? আমাদের কথাই ) মানুষের ব্যবস্থা, মানুষের ইচ্ছা, মানুষের মালিকানা খাটলো কি ? আড়াল থেকে সেই পরমরসিক হেসে যেদিকে অঙ্গুলি হেলালেন, সেই দিকেই উণ্টে । গেল পাশ । পুতুলবাজীর পুতুল_আমুর। নিজেদের কোনও ইচ্ছাই মানুষের খাটতে পারেনা, একমাত্র তঁর ইচ্ছা ছাড়া।-- সবিতা কি যেন জবাব দিতে যাইতেছিলেন, কে ডাকিল, বাবাকণ্ঠস্বরে চমকিত হইয়া সবিতা পিছন ফিরিয়া দেখিলেন,-রেণু। শীর্ণ মুখ, রুক্ষ কেশ, চেহারায় দারিদ্র্যের রুক্ষতা সুস্পষ্ট। পরণে একখানি আধময়লা ছাপা বৃন্দাবনী শাড়ী, তারও কণ্ঠে তুলসীর কণ্ঠীললাটে ও নাসিকাগ্রে চন্দন তিলক । সবিতা স্তম্ভিত দৃষ্টিতে কন্যার পানে তাকাইয়া নিথর হইয়া গেলেন। রেণু সবিতার দিকে না তাকাইয়া-ডাকিল, বাবা, ঘরে চলো, রাত 3 ICS ব্ৰজবাবু একটু অপ্ৰস্তুত হইয়া বলিলেন, তোর মাকে চিনতে পারলিনে রেণু ?