পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o S শেষ্ট্রেপরিচয় মাথা হেলাইয়া রেণু বলিল দেখেচি। মন্দিরে তো গুৰ্ণামকরণ্ঠে নেই। মায়ের মুখের পানে একবার শান্ত নির্লিপ্ত দৃষ্টিপুতি কম্মিা আবার ব্ৰজবাবুর দিকে ফিরিয়া বলিল,-চলো বাবা । একাদশীরা উপোস করে রয়েচো সারাদিন, কখন একটু প্ৰসাদ পাবে ? কন্যার আকৃতি দেখিয়া সবিতার অন্তরে যে আৰ্ত্ত ক্ৰনদীলৈ গুমরিয়া উঠিতেছিল, কন্যার কথাবাৰ্ত্তার ভঙ্গীতে তাহা যেন আরও উদ্বেল श्श स्टठिन । মাতার প্রতি কন্যার এই পরের মত আচরণে ব্ৰজবাবু মনে মনে কুষ্ঠিত হইয়া পড়িতেছিলেন । হয়তো বা সেইজন্যই সবিতাকে উদ্দেশ করিয়া বলিলেন, নতুন-বেী, গোবিন্দের কুটীরে একদিন তোমরা সেবা করতে আসতে পারবে কি ? সবিতা রেণুর নির্লিপ্তমুখের পানে ক্ষণিক দৃষ্টিপাত করিয়া ব্ৰজবাবুকে জবাব দিলেন, না মেজকৰ্ত্তা, তোমার গোবিন্দর কুটীরে আমার মতন । মহাপাপীর প্রবেশের উপায় নেই। জিভা কাটিয়া ব্ৰজবাবু বলিলেন, গোবিন্দ ! গোবিন্দ ! দীনদয়াল দীনবন্ধু -পতিতপাবন তিনি। তিনি যে অশরণের শরণ নতুন-ধৌ— উচ্ছসিত কান্না প্ৰাণপণে দমন করিতে করিতে সবিতা বলিলেন, শুধু তোতা পাখীর মত মুখেই এ-সব আওড়ে গেলে মেজকৰ্ত্তা ! তোমাদের ধৰ্ম্ম, তোমাদের যা” তৈরি করেচে, সে তোমরা নিজচক্ষে দেখতে পাচোনা তাই রক্ষে । ষেধৰ্ম্মে ক্ষমা নেই সেধৰ্ম্ম অধৰ্ম্ম থেকে কতটুকু আর উচু ? সবিতা অত্বরিতপদে মন্দিরের বাহিরের দিকে অগ্রসর হইলেন। বিমূঢ় ব্ৰজবাবুর সামনে আসিয়া বিমলবাবু বলিলেন,-আপনার সঙ্গে আমার একটু কথা ছিল, কখন আপনার সুবিধা হবে জানতে পারলে— ব্ৰজবাবু বলিলেন, যখন আপনার সুবিধা হবে, তখনই। Rs.