পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় 8. সে মেয়ের কপাল ৷ তার চেয়ে হাত-পা বেঁধে ওকে জলে ফেলে দিয়ে। তাই তো দিচ্ছিলে । X> আলোচনা পাছে বাদানুবাদে দাড়ায় এই ভয়ে রাখাল মাঝখানে কথা কহিল, বলিল, মামাবাবু কি রাগার।াগি করবেন মনে হয় কাকাবাবু? ব্ৰজবাবু স্নান হাসিয়া বলিলেন, মনে হয় বই কি। হেমন্তর স্বভাব তুমি জুলানোই ত ব্ৰাজু। সহজে ছাড়বেন । রাখাল খুব জানিত,-তাই চুপ করিয়া রহিল। নতুন-বীে হঠাৎ ক্রুদ্ধ হইয়া কহিলেন, তোমার মেয়ে, যেখানে ইচ্ছে বিয়ে দেবে, হচ্ছে না হলে দেবেন, তাতে হেমন্তবাবু বাধা দেবেন। কেন ? দিলেই বা তুমি শুনবে কেন ? প্ৰত্যুত্তরে ব্ৰজবাবু “ন’ বলিলেন বটে। কিন্তু গলায় জোর নাই তাহা সকলেই অনুভব করিল । নতুন-বেী বলিতে লাগিলেন, তোমার ছেলে নেই, শুধু দুটি মেয়ে । এরা যা পাবে তাতে খুঁজলে কলকাতা সহরে সুপাত্রের অভাব হবেনা, কিন্তু সে ক’টা দিন তোমাকে স্থির হয়ে থাকতেই হবে । আশীৰ্ব্বাদ, গায়ে-হলুদের ওজর তুলে ভূত-প্ৰেত, পাগল ছাগলের হাতে, মেয়ে সম্প্রদান করা চলবেন । এর মধ্যে হেমন্তবাবু বলে কেউ নেই । বুঝলে মোজকৰ্ত্তা ? ব্ৰজবাৰু বিষন্ন মুখে মাথা নাড়িয়া বলিলেন, ই৷ { রাখাল কথা কহিল। বলিল, এ হোলো সহজ যুক্তি ও ন্যায়-অন্যায়ের কথা মা, কিন্তু তেমন্তবাবুকে তো আপনি জানেন না। রেণু অনেক-কিছু পাবে বলেই তার অদৃষ্ট আজ মামাবাবুর পাগল আত্মীয় জুটেছে, নইলে ལྔ་ཚེ་ཊiགཡས་བ༠ নিশ্বাস ফেলবার সময় পেতো । মামাবাবু এক কথায় হাল ছাড়বার লোক নয়। মা ।