পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় Գ8 শেখে, তোমার খাওয়া-পরার ভাবনা থাকবেন । হয়ত, তুমিই কতলোকের খাওয়া-পরার শুভার নেবোঁ । শুনিয়া অকৃত্ৰিম আনন্দে মেয়েটির মুখ উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল। স্নাখাল মিনিট দুই নিঃশব্দে চাহিয়া থাকিয়া পকেট হইতে একখানা দশ টাকার নোট বাহির করিয়া বলিল, টাকাটা তুমি কাছে রাখে। সারদা, এ তোমারই । আমি এক বন্ধুর বিয়ে দিতে দিল্লী যাচ্চি, ফিরতে বোধহয় দশবারে দিন দেরি হবে,-এসে তোমার লেখা এনে দেবো।--কি বলে ? কিছু ভেবোন,-কেমন ? সারদা কহিল, আমার টাকার এখন দরকার ছিলনা দেবতা,- সে-ই এখনো খরচ হয়নি । --তা হোক, তা হোক-এ টাকাও আপনিই শোধ হয়ে যাবে। যদি হঠাৎ আবশ্যক হয় কার কাছে চাইবে বলে ? কিন্তু আমার জন্যে চিন্তা কোরোনা যেন, আমি যত শীঘ্ৰ পারি চলে আসবো । এসেই তোমাকে লেখা দিয়ে যাবো । সারদার নিকট বিদায় লইয়া রাখাল তাহার মনিব বাটীতে উপস্থিত হইল, সেখানে কৰ্ত্তী গৃহিণী ও তাঁহাতে বহু বাদানুবাদের পর স্থির হইল সমস্ত দলবল লইয়া তাহাকে রবিবার রাত্রির গাড়ীতেই যাত্ৰা করিতে হইবে। গৃহিণী বলিয়া দিলেন, রাখাল, তোমার নিজের বন্ধু-বান্ধব কেউ যেতে চায় তো স্বচ্ছন্দে নিয়ে যেয়ো-সব খরচ তাদের । মনে রেখো, এ-পক্ষের তুমিই কৰ্ত্তা,-টাকা-কড়ি, গয়না-গাটি, জিনিস-পত্ৰ সমস্ত झाशिद्ध (ऊाभiन्न । রাখলের সর্বাগ্ৰে মনে পড়িল তারককে । সে হুইসিয়ার লোক, তাহাকে সঙ্গে লইতে হইবে, বিনা খরচায় এ সুযোগ নষ্ট করা হইবেন । কেবল একটা আশঙ্কা ছিল লোকটার এক-ঝোঁকা নৈতিক বুদ্ধিকে ।