পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোয়ের পরিচয় কথা ভেবে মনের মধ্যে কিছুতে স্বস্তি পাচ্চিনে রাজু। দিনরাত কত চিন্তা, কত রকমের ভয়ই যে হয় সে আর আমি বলবো কাকে ? রাখাল বলিল, কিন্তু ওঁকে কি আপনার খুব দুৰ্ব্বল লোক বলে মনে তয় মা ? নতুন-মা একটুখানি মান হাসিয়া কহিলেন, দুর্বল প্ৰকৃতির উনি তো চিরদিনই রাজু! তাতে আর সন্দেহ কি ! ৰাখাল বলিল, দুৰ্বল লোকে কি এত আঘাত নিঃশব্দে সইতে পারে মা ? জীবনে কত ব্যথাই যে কাকাবাবু সহ করেছেন সে আপনি জানেননা, কিন্তু আমি জানি। ঐ যে উনি আসচেন । খোলা জানালার ভিতর দিয়া ব্ৰজবাবুকে সে দেখিতে পাইয়াছিল, তাড়াতাড়ি উঠিয়া দরজা খুলিয়া দিল এবং তিনি ভিতরে প্রবেশ করিলে সে এক পার্শ্বে সরিয়া দাড়াইল । নতুন-মা কাছে আসিয়া গলায় আঁচল দিয়া প্ৰণাম করিয়া পায়ের ধূলা মাথায় লইয়া উঠিয়া দাড়াইলেন। ব্ৰজবাবু চেয়ার টানিয়া উপবেশন করিলেন, বলিলেন, রেণুর বিয়ে ওখানে দিইনি শুনেছে নতুন-বেী ? -হঁ, শুনেচি। বোধহয় খুব গোলমাল হলো ? -সে তো হবেই নতুন-বোঁ । —তুমি নিৰ্বিরোধী শান্ত মানুষ, আমার বড় ভাবনা ছিল কি কোরে তুমি এ বিয়ে বন্ধ করবে। ব্ৰজবাবু বলিলেন, শান্তিই আমি ভালোবাসি, বিরোধ করতে কিছুতে মন চায়না, এ কথা সত্যি । কিন্তু তোমার মেয়ে অথচ, তোমারই বাধা দেবার হাত নেই । কাজেই সব ভার এসে পড়লে আমার ওপর, একাকী আমাকেই তা বইতে হলো । সেদিন আমার বারবার কি কথা মনে হচ্ছিল জানো নতুন-ৰৌ, মনে হচ্ছিল। আজ তুমি যদি বাড়ী থাকুতে