পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় S8 রাখাল হাসিয়া বলিল, কি করবো ভাই, অতবড় ভাগ্যবতীর দেখা মিলবে। তবে তো ? --না সে হবেন । বাবাকে ধরে এবার আমি নিশ্চয় তোমার একটি বিয়ে দিয়ে দেবো । --তাই দিও, আগে সেরে ওঠে । বিনোদ-ডাক্তার আজ কি বললে ?? জরটা ছাড়াচেনা কেন ? ফটিকের-মা দাড়াইয়া ছিল, বলিল, ডাক্তারবাবু আজ তো আসেননি, এসেছিলেন পরশু । সেই এক ওষুধই চলচে। শুনিয়া রাখাল স্তব্ধ হইয়া রহিল । তাহার শঙ্কিত মুখের প্রতি চাহিয়া রেণু লজ্জা পাইয়া কহিল, রোজ ওষুধ বদলানো বুঝি ভালো ? আর মিছিমিছি ডাক্তারকে টাকা দিতে থাকলেই বুঝি অসুখ সেরে যায় ফটিকের-মা ? আমি এতেই ভালো হয়ে যাবে তোমরা দেখে নিও । রাখাল কথা কহিলনা, বুঝিল দুৰ্দশায় পড়িয়া সামান্য গুটিকয়েক টাকাও আর সে পিতার খরচ করাইতে চাহেনা । --তুমি কি চলে যাচ্চো, রাজুদা ? -আজি যাই ভাই, কাল সকালেই আবার আসবো । --নিশ্চয় আসবে তা ? নিশ্চয় আসবো। আমি না। আসা পৰ্যন্ত কাকাবাবুকে উনুনের কাছেও যেতে দিওনা রেণু । শুনিয়া রেণু কত যেন কুষ্ঠিত হইয়া উঠিল, বলিল, কাল যদি আমার জর না থাকে আমি রাধবো রাজুদা ? --কিছুতেই না । ঝিকে সাবধান করিয়া দিয়া কহিল, আমি না এলে কাউকে কিছু করতে দিওনা ফটিকের-মা। এই বলিয়া সে বাহির হুইয়া গেল । বিনোদ ডাক্তার পাড়ার লোক, একটু দূরে বাড়ী,-নিচের