পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 〉? শেষ প্রশ্ন অক্ষয়-সতীত্বের মধ্যে নিহিত আছে । আমরা তারই জোরে বেঁচে যাবো । হিন্দু কখনো মরেনা। অজিত হাতের কাগজ ফেলিয়া র্তাহ" দিকে বিশ্বরিত চক্ষে চাহিয়া রহিল, এবং মুহূৰ্ত্ত কালের জন্য কমলও নির্বাক হইয়া গেল। তাহার মনে পড়িল প্রবন্ধ লিখিয়া এই লোকটাই তাহাকে অকারণুে আক্রমণ করিয়াছে, এবং ইহাই সে কাল নারীর কল্যাণ-উদ্দেশ্যে বহু নারীর সমক্ষে দত্তের সহিত পাঠ করিবে। এবং, এই শেষোক্ত ইঙ্গিত শুধু তাহাকেই লক্ষ্য করিয়া। দুর্জয় ক্রোধে মুখ তাহার রাঙা হইয়া উঠিল, কিন্তু এবারও সে আপনাকে সম্বরণ করিয়া সহজকণ্ঠে কহিল, আপনার সঙ্গে কথা কইতে আমার ইচ্ছে হয়না অক্ষয়বাবু, আমার আত্মসম্মানে বাধে। বলিয়াই সে আশুবাবুর প্রতি ফিরিয়া চাহিয়া কহিল, কোন আদর্শ-ই বহুকাল স্থায়ী হয়েছে বন্ধেই তা নিত্যকালস্থায়ী হয়না, এবং তার পরিবর্তনেও লজ্জা নেই—এই কথাটাই আপনাকে আমি বলতে চেয়েছিলাম। তাতে জাতের বৈশিষ্ট্য যদি যায়, তবুও। একটা উদাহরণ দিই। আতিথেয়তা আমাদের বড় আদর্শ। কত কাব্য, কত উপাখ্যান, কত ধৰ্ম্ম-কাহিনী এই নিয়ে রচিত হয়েছে। অতিথিকে খুসি করতে দাতা-কর্ণ নিজের পুত্রহত্যা করেছিলেন। এই নিয়ে কত লোকে কত চোখের জলই যে ফেলেছে তার সংখ্যা নেই। অথচ, এ কাহিনী আজ শুধু কুৎসিত নয়, বীভৎস। সতী-স্ত্রী কুষ্ঠগ্রস্ত স্বামীকে কাধে নিয়ে গণিকালয়ে পৌছে দিয়েছিল,—সতীত্বের "এ আদর্শেরও একদিন তুলনা ছিল্পনা,--কিন্তু আজ সে কথা মানুষের মনে শুধু ঘৃণার উদ্রেক করে । আপনার নিজের জীবনের যে আদর্শ, যে ত্যাঃ লোকের মনে আজ শ্রদ্ধা ও বিস্ময়ের কারণ হয়ে আছে ; একদিন সে হয়ত শুধু অমুকম্পার ব্যাপার হবে। এই