পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ\ყ© শেষ প্রশ্ন বছরেরর বালক হইতে উনিশ-কুড়ি বছরের যুবক পর্য্যন্ত তাহাতে আছে । শীতের দিন। গায়ে শুধু একটি জামা, কিন্তু কাহারও পায়ে জুতা নাই—জীবন ধারণের পক্ষে অতি প্রয়োজনীয় নয় বলিয়াই। আহারের ব্যবস্থা পূৰ্ব্বেই দেখানো হইয়াছে। ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমে এ সকল শিক্ষার অঙ্গ। হরেন্দ্র আজ একটি সুন্দর বক্তৃত রচনা করিয়া রাখিয়াছিল, মনে মনে তাঁহাই আবৃত্তি করিয়া লইয়া যথোচিত গাষ্ঠীৰ্য্যের সহিত কহিল, এই ছেলেরা স্বদেশের কুাজে জীবন উৎসর্গ করেছে। আশ্রমের এই মহৎ আদর্শ যাতে নগরে-নগরে গ্রামে-গ্রামে প্রচার করতে পারে আজ এদের সেই আশীৰ্ব্বাদ আপনারা করুন। সকলে মুক্তকণ্ঠে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। হরেন্দ্র কহিল, যদি সময় থাকে আমাদের বক্তব্য আমি পরে নিবেদন কোরব। এই বলিয়া সে কমলকে উদ্দেশ করিয়া কহিল, আপনাকেই আজ আমরা বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ করে এনেছি কিছু শুনবো বলে। ছেলেরা আশা করে আছে আপনার মুখ থেকে আজ তারা এমন কিছু পাবে যাতে জীবনের ব্রত তাদের অধিকতর উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। কমল সঙ্কোচ ও দ্বিধায় আরক্ত হইয়া উঠিল, কহিল, আমি তো বক্তৃতা দিতে পারিনে হরেনবাবু। উত্তর দিল সতীশ, কহিল, বক্তৃতা নয়, উপদেশ । দেশের কাজে যা তাদের সব চেয়ে বেশি কাজে লাগবে, শুধু তাই। কমল তাহাকেই প্রশ্ন করল, দেশের কাজ বলতে আপনারা কি বোঝেন আগে বলুন। সতীশ কহিল, যাতে দেশের সর্বাঙ্গীন কল্যাণNহয় সেই তো দেশের কাজ । কমল বলিল, কিন্তু কল্যাণের ধারণা তো সকলের এক নয়।