শেষ প্রশ্ন >bペ কমল বলিল, কিন্তুতে কাজ নেই অজিতবাবু, ওর অনেক ঝঞ্চাট । এখন বাসায় যাওয়াও সম্ভব নয়, আপনার ঘরে গিয়ে ওঠাও সম্ভব নয় । আপনি যান, দেরি করবেন না। সকালে বেহারা আসিয়া অজিতকে আগুবাবুর শয়নকক্ষে ডাকিয়া লইয়া গেল তিনি শয্যা ছাড়িয়া তখনও উঠেন নাই, অদূরে চৌকিতে বসিয়া কমল,—ইতিপূৰ্ব্বেই তাহাকে ডাকাইয়া আনা হইয়াছে। আশুবাবু বলিলেন, শরীরটা কাল থেকেই ভালো ছিলনা, আজ মনে হচ্ছে যেন,–আচ্ছা, বোস অজিত । সে উপবেশন করিলে কহিলেন, শুনলাম আজ সকালেই তুমি চলে যাবে, তোমাকে থাকৃতে বলুতেও পারিনে, বেশ, গুড়বাই। আর কখনো যদি দেখা না হয়, নিশ্চয় জেনো, তোমাকে সৰ্ব্বান্তঃকরণে আমি আশীৰ্ব্বাদ করেচি,–যেন, আমাদের ক্ষমা করে তুমি জীবনে সুখী হ’তে পারো । Ç অজিত র্তাহার মুখের প্রতি তখনও চাহিয়া দেখে নাই, এখন জবাব দিতে গিয়া নিৰ্ব্বাক হইয়া গেল। নিৰ্ব্বাক বলিলে ঠিক বলা হয় না, সে যেন অকস্মাৎ কথা ভুলিয়া গেল। একটা রাত্রির কয়েক ঘণ্টা মাত্র সময়ে কাহারও এতবড় পরিবর্তন সে কল্পনা করিতেও পারিল না । আশুবাবু নিজেও মিনিট দুই তিন মৌন থাকিয়া এবার কমলকে উদ্দেশ করিয়া কহিলেন, তোমাকে ডেকে আনিয়েছি, কিন্তু তোমার সঙ্গে চোখো-চোথি করতেও আমার মাথা হেঁট হয়। সারা রাত্রি মনের মধ্যে যে কি করেচে, কত-কি যে ভেবেচি, সে অমি কাকে জানাবে? একটু থামিয়া কহিলেন, অক্ষয়ু একদিন বলেছিলেন, শিবনাথ
