পাতা:শেষ লীলা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেষ লীলা
২৩

আমি দেখিতে পাই, এবং উহারাও আমাকে দেখিতে পাইয়া উভয়ে উভয় দিকে প্রস্থান করে। ইহার পর রাত্রি আন্দাজ বারটা কি একটার সময় আমি কার্য্য বশতঃ আমার গৃহ হইতে বাহির হই। সেই সময় দেখিতে পাই, হরি ধীরে ধীরে তাহার মাতার গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া রাজকুমারীর গৃহের দিকে গমন করিতেছে। রাজকুমারীর গৃহের দরজা ভিতর হইতে বন্ধ ছিল না, কেবল ভেজান ছিল মাত্র। হরি সেই দরজা ধীরে ধীরে ঠেলিয়া নিঃশব্দে সেই গৃহের ভিতর প্রবেশ করিল। ব্যাপার দেখিয়া আমি সেই সময় অনুমান করিয়াছিলাম, রাজকুমার হরির প্রেমে আশক্ত হইয়াছে, তাই হরি উহার গৃহে গোপনে গমন করিয়া থাকে। আমি পুলিসের ভয়ে এ কথা পূর্ব্বে বলিতে সাহসী হই নাই।”

 অপর আর একটী স্ত্রীলোক কহিল,—রাত্রি আন্দাজ দুইটার সময় আমি আমার গৃহ হইতে বহির্গত হই। আমার গৃহে একটী লোক ছিল, সেই সময় সে আমার গৃহ হইতে চলিয়া যাইবার ইচ্ছা প্রকাশ করায়, সদর দরজা খুলিয়া তাহাকে বাহির করিয়া দিবার নিমিত্ত, আমি তাহার সহিত আমার গৃহ হইতে বহির্গত হই এবং তাহার সহিত সদর দরজা পর্য্যন্ত গমন করিয়া দেখি যে, সদর দরজা খোলা রহিয়াছে। কে যে সেই দরজা খুলিয়া বাহিরে গমন করিয়াছে, সেই সময় তাহার কিছুমাত্র স্থির করিতে না পারিয়া, সেই দরজা ভিতর হইতে পুনরায় আমি বন্ধ করিয়া দি, এবং আমার গৃহে গিয়া আমি শয়ন করি।”

 তৃতীয় ভাড়াটিয়া কহিল,—“যে দিবস রাজকুমারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়, সেই দিবস অতি প্রত্যূষে আমি গাত্রোত্থান করিয়া, আমার বাবুর সহিত সহিত আমি সদর দরজা পর্য্যন্ত গমন করি। সেই