পাতা:শেষ সপ্তক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেষ সপ্তক

তার বিশ্ব ছিল
সেইটুকু ফাঁকের বেষ্টনীর মধ্যে।
তার অবােধ চোখ মেলে চাওয়া
ঠেকে যেত বাগানের পাঁচিলটাতে
সারি সারি নারকেল গাছে।
সন্ধেবেলাটা রূপকথার রসে নিবিড়;
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝখানে
বেড়া ছিল না উচু,
মনটা এ দিক থেকে ও দিকে
ডিঙিয়ে যেত অনায়াসেই।
প্রদোষের আলাে-আঁধারে
বস্তুর সঙ্গে ছায়াগুলাে ছিল জড়িয়ে,
দুইই ছিল এক গােত্রের।

সে কয়দিনের জন্মদিন
একটা দ্বীপ,
কিছুকাল ছিল আলােতে,
কালসমুদ্রের তলায় গেছে ডুবে।
ভাঁটার সময় কখনাে কখনাে
দেখা যায় তার পাহাড়ের চুড়া,
দেখা যায় প্রবালের রক্তিম তটরেখা

১৫৫