পাতা:শেষ সপ্তক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেষ সপ্তক

পঁচিশে বৈশাখ তার পরে দেখা দিল
আর-এক কালান্তরে,
ফাল্গুনের প্রত্যুষে
রঙিন আভার অস্পষ্টতায়।
তরুণ যৌবনের বাউল
সুর বেঁধে নিল আপন একতারাতে,
ডেকে বেড়ালো
নিরুদ্দেশ মনের মানুষকে
অনির্দেশ বেদনার খেপা সুরে।

সেই শুনে কোনাে কোনাে দিন বা
বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মীর আসন টলেছিল,
তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন
তাঁর কোনাে কোনাে দূতীকে
পলাশবনের রঙমাতাল ছায়াপথে
কাজ-ভােলানাে সকাল-বিকালে।
তখন কানে কানে মৃদু গলায় তাদের কথা শুনেছি;
কিছু বুঝেছি, কিছু বুঝি নি।
দেখেছি কালাে চোখের পক্ষরেখায়
জলের আভাস;
দেখেছি কম্পিত অধরে নিমীলিত বাণীর
বেদনা;

১৫৬