পাতা:শেষ সপ্তক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক

চারুচন্দ্র দত্তের উদ্দেশে লিখিত বিয়াল্লিশ-সংখ্যক কবিতার প্রসঙ্গে ‘শনিবারের চিঠি’র ১৩৫৯ আষাঢ় সংখ্যায় (পৃ ২৩৬) মুদ্রিত হয়: “এই কবিতাটি ছাপাখানায় কৃপায় খণ্ডিতভাবে প্রকাশিত হইয়াছে। এই ভুল রবীন্দ্রনাথ নিজের হাতে সংশোধন করিয়া পাঠান।” চারুচন্দ্র দত্তের পুত্র অরিন্দম দত্তের নিকট হইতে শ্রীঅমলকুমার বসুর সৌজতে সংকলিত এই অংশের পাণ্ডুলিপি কিছুকাল পূর্বে আমাদের হস্তগত হইয়াছে। ইহা কবিতাটির দ্বিতীয় স্তবক,এইরূপ অনুমিত হয়।

কিন্তু শেষ সপ্তকের যে-দুইটি পাণ্ডুলিপি রবীন্দ্রসদনে আছে তাহার একটি রবীন্দ্র-হস্তাক্ষরে, অপরটি রবীন্দ্রনাথ-কৃত সংযোজন ও সংশোধন -সংবলিত অন্যের লেখা প্রেস-কপি যেটি হুবহু শেষ সপ্তক গ্রন্থে ছাপা হইয়াছেপাণ্ডুলিপি দুইটির কোনোটিতেই উল্লিখিত অংশটি নাইন সম্পূর্ণ কবিতাটি পাণ্ডুলিপি চারুচন্দ্র দত্তের সংগ্রহ হইতে না পাওয়ায় বা না দেখায়, ঐ অংশটি রবীন্দ্রনাথ চারুচন্দ্র দত্তকে প্রদত্ত পাণ্ডুলিপিতে পরে বসাইয়া দিয়াছিলেন কি না নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। চারুচন্দ্র দত্তকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের যেসকল চিঠিপত্র রবীন্দ্রসদনে আছে তাহাতেও এ প্রসঙ্গে কোনো উল্লেখ নাই। যথাল খণ্ডিত পাণ্ডুলিপির পাঠ এখানে মুদ্রিত হইল:


কতবার মনে ভেবেছি
তোমার মন যেন সুবর্ণরেখা নদী।
তলায় সঞ্চিত নানা আকারের পাথর,
নানা রঙের নুড়িতারা সারবান, তা ভারবান।
বালির সঙ্গে লুকিয়ে আছে
সোনার কণা,
তারা মূল্যবান।
তাদের উপর দিয়ে বহে চলে যায়
কলমুখর ধারা

২১২