পাতা:শেষ সপ্তক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় । চপল ভঙ্গীতে, ধরণীর প্রাণের স্রোতের সঙ্গে মেলে : তার ছন্দের গতি, সকালে বিকালে ভার তরঙ্গে নাচে লোকালয়ের ছায়া— এই তোমার স্মিতহাস্তে উজ্জল গল্পের প্রবাহ । সংযোজন -বৃত ‘আমি (পৃ ১৯৭) কবিতার একটি খসড়া রূপ অংশতঃ সংকলন করেন শ্ৰীঅমিয়চন্দ্র চক্রবর্তী তাহার কোনো পুরাতন পত্রে । তদনুযায়ী প্রথমাংশে অবিচ্ছেদে পাওয়া যায়, মুত্রিত কবিতার প্রথম স্তবকের ছত্র ১-৬, দ্বিতীয়ের ছত্র ১-৪ এবং তৃতীয়ের ছত্র ১-৪ ; শেষাংশে : দোসর-অামি ছড়িয়ে আছে বিশ্ব-জোড়া পক্ষিমাতার ডানা। যে আমিরে ধূসর-ছায়া প্রতিদিনের ভিড়ের মধ্যে দেথা সেই আমিরে এক নিমেষের আলোয় দেখি একের মধ্যে একা । দেখা যাইবে— ‘দোসর-আমি ... ডানা পূর্বমুত্রিত তৃতীয় স্তবকের শেষ বাক্যে একটি ছত্রাংশ এবং অবশিষ্ট সংকলন মুদ্রিত শেষ স্তবকেরই স্বচনার দুই ছত্র বা একটি বাক্য । * শেষ সপ্তক কাব্য (মূল গ্রন্থ / এক-ছেচল্লিশ) অতি অল্প সময়ে রচনা করা হয়, তাহার আভাস পাওয়া যায় প্রশ্নমিয়চন্দ্র চক্রবর্তীকে লেখা রবীন্দ্রনাথের পত্রে। এজন্যই সাময়িক পত্রে প্রচারের স্বযোগ এমনকি ইচ্ছাও হয়তো ছিল না। এ ব্যাপারে বোধ করি প্রথম কবিতাটিই বিশেষ ব্যতিক্রম ; ২১৩ ' .