পাতা:শেষ সপ্তক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেষ সপ্তক

কোথাও রইল না তার ক্ষত,
কোথাও বাজল না তার ক্ষতি।

ওই নির্মল নিঃশব্দ আকাশে
অসংখ্য কল্প-কল্লাস্তরের
হয়েছে আবর্তন।
নূতন নূতন বিশ্ব
অন্ধকারের নাড়ী ছিঁড়ে
জন্ম নিয়েছে আলােকে,
ভেসে চলেছে আলােড়িত নক্ষত্রের ফেনপুঞ্জে,
অবশেষে যুগান্তে তারা তেমনি করেই গেছে
যেমন গেছে বর্ষণশান্ত মেঘ,
যেমন গেছে ক্ষণজীবী পতঙ্গ।

মহাকাল, সন্ন্যাসী তুমি।
তােমার অতলস্পর্শ ধ্যানের তরঙ্গ-শিখরে
উচ্ছ্রিত হয়ে উঠছে সৃষ্টি,
আবার নেমে যাচ্ছে ধ্যানের তরঙ্গতলে।
প্রচণ্ড বেগে চলেছে ব্যক্ত-অব্যক্তের চক্রনৃত্য,
তারই নিস্তব্ধ কেন্দ্রস্থলে
তুমি আছ অবিচলিত আনন্দে।
হে নিমম, দাও আমাকে তােমার ওই সন্ন্যাসের দীক্ষা

২৯