লাহিড়ি। আর একটা কথা। আমি ঠিক বুঝতে পারিনে তুমি সতীশকে কেমন যেন একটুখানি indulgence দাও।
চারু। না। মিষ্টার লাহিড়ি, নেলি তো তাকে কথায় কথায় নাকের জলে চোখের জলে করে। পৃথিবীতে ওব কুকুর টম্কে ছাড়া নেলি আর যে কাউকে একটু indulgence দেয়, এ তো আমি দেখিনি।
লাহিডি। কিন্তু সে আসতেও ছাড়ে না। সে দিন চা পার্টিতে এমন একটা জুতো পরে’ এসেছিলো, যে তার মচ্ মচ্ শব্দে দেয়ালের ইঁটগুলোকে পর্য্যন্ত চম্কিয়ে দিয়ে গেছে। ওকে নিয়ে এক এক সময় ভারি awkward হয়। তা ছাড়া ওর ট্রাউজারগুলো—থাকগে, লোরেটোতে ছোটোবেলায় তোমার সঙ্গে ও এক সঙ্গে প’ড়েছিলো, ওকে আমি কিছু ব’ল্তে চাইনে, কিন্তু যে দিন বরুণরা আসবে, সে দিন ববঞ্চ ওকে—
নলিনী। ভয় কী, বাবা, সে দিন ববঞ্চ সতীশকে ট্রাউজার না পরে’ ধুতি পরে’ আস্তে ব’লবো, আর দিল্লির জুতো, সে মচ্ মচ ক’রবে না।
লাহিড়ি। ধুতি? পার্টিতে? আবার দিল্লির নাগরা?
নলিনী। পৃথিবীতে যে সব বালাই অসহ্য, সেগুলো ক্রমে ক্রমে সইয়ে নেওয়া ভালো।
চারু। ওর সঙ্গে কথায় পার্বেন না। এদিকে লোক আস্বাব সময় হ’য়ে আস্চে। নেলি, তুই যা ভাই, কাপড় পরে’ আয়, যদি কেউ লোক আসে, আমি তাদের সাম্লাব।
লাহিড়ি। এই বুঝি ওর সব জন্মদিনের প্রেজেণ্ট? বরুণের ব্রেস্লেট্টা কী এমনি টেবিলের উপরেই থাকবে?