অক্ষরে আছে, সেইটে সে গানে লিখে দিয়েছিলো—শুধু তাই নয়, পাছে চোখে না পড়ে, তাই নিজে এসে গেয়ে শুনিয়েছিলো—
পাতা খানি শূন্য রাখিলাম,
নিজের হাতে লিখে রেখো শুধু আমার নাম।
সতীশ। কে লোকটা কে?
নলিনী। তার সঙ্গে ডুয়েল লড়্তে যাবে না কী? আমাদের কবি গো—কিন্তু কবিত্বে তুমি তাকেও ছাডিয়ে গেছো—তোমার এ যে unheard melody। আমি শুনতে পাচ্চি—
এই এলবম্ শূন্য রইলো সবি,
নিজের হাতে ভ’রে রেখো শুধু আমার ছবি।
কিন্তু তোমার সব কথা বলা হয় নি।
সতীশ। না, হয়নি। বলি তা’হ’লে। এসে দেখ্লুম—সবাই আমার মতো ভীরু নয়। যার জোর আছে, সে নিজেব ছবিতে নিজের নাম লিখে পাঠাতে সঙ্কোচ করে না। মনে বুঝ্লুম, আমি দিয়েছি শূন্য পাতা, আব তারাই দিলে পূর্ণ কর্বার জিনিষ।
নলিনী। তোমাকে এখনি বুঝিয়ে দিচ্চি ভুল ক’রেছে সে। ছবি দিতে সবাই পারে, ছবি রাখ্বার জায়গা দিতে ক’জন পারে। ভীরু, তোমার অদৃশ্য ছবিরই জিৎ থাক। (নন্দীর ছবি ছিঁড়িয়া ফেলিল) ও কি, অমন করে’ লাফিয়ে উঠ্লে কেন? মৃগী-রোগে ধ’র্লো নাকি?
সতীশ। কোন্ রোগে ধ’রেছে, তা অন্তর্য্যামী জানেন। নেলি, একবার তুমি আমাকে স্পষ্ট করে’—
নলিনী। এই বুঝি নাটক সুরু হ’লো? চোখের সাম্নে দেখ্লে