পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ বােধ

 সতীশ। (কানে কানে) সর্ব্বনাশ, মা, সর্ব্বনাশ। গুড়গুড়ির খোঁজ প’ড়েচে।

 বিধু। একটু চুপ কর তুই। কেন বে, চাবি কেন?

 ভৃত্য। কাল কোথায় যাবেন, চেক বইটা চান।

 বিধু। আচ্ছা, একটু সবুর ক’রতে বল, চাবি নিয়ে এখনি যাচ্ছি।

ভৃত্যের প্রস্থান।

 সতীশ। মা, লোহার সিন্দুক খুললেই তো—

 বিধু। একটু থাম। আমাকে একটু ভাবতে দে।

 সতীশ। (নেপথ্যের দিকে চাহিয়া) না, না, এখানে আসতে হবে না, আমি যাচ্ছি।

প্রস্থান।

 সুকুমারী। সতীশ ব্যস্ত হ’য়ে পালাল কেন, বিধু?

 বিধুমুখী। থালায় করে’ তার জলখাবার আন ছিলো কি না, ছেলের তাই তোমাদের সামনে লজ্জা।

 সুকুমারী। আহা, বেচারার লজ্জা হ’তে পারে। ও সতীশ, শোন শোন।

সতীশের প্রবেশ

 তোর মেশো মশায় তোকে পেলেটির বাড়ী থেকে আইস্‌ক্রিম্ খাইয়ে আন্‌বেন, তুই ওঁর সঙ্গে যা। ওগো, যাও না—ছেলেমানুষকে একটু—

 সতীশ। মাসিমা, সেখানে কী কাপড় পরে’ যাবো?

 বিধুমুখী। কেন, তোর তো চাপ্‌কান আছে।

 সতীশ। চাপকান তো পেলেটির খানসামাদেরও আছে। বেমালুম দলে মিশে যাব।

[ ১৯