পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ বােধ
দ্বিতীয় দৃশ্য

 সুকুমারী। আর যাই হোক বিধু, তোব ছেলে ভাগ্যে পৈতৃক পছন্দটা পায় নি, তাই রক্ষা। বাস্তবিক, চাপকান দেখ্‌লেই খান্‌সামা কিম্বা যাত্রাদলের ছেলে মনে পড়ে। এমন অসভ্য কাপড় আব নেই।

 শশধর। এ কথাগুলো—

 সুকুমারী। চুপি চুপি ব’লতে হবে? কেন ভয় ক’রতে হবে কা’কে? মন্মথ নিজের পছন্দ মতো ছেলেকে সাজ কবাবেন আর আমবা কথা কইতেও পাবো না?

 শশধর। সর্ব্বনাশ! কথা বন্ধ ক’রতে আমি বলি নে। কিন্তু সতীশের সামনে এ সমস্ত আলোচনা—

 সুকুমারী। আচ্ছা আচ্ছা বেশ! তুমি ওকে পেলেটির ওখানে নিয়ে যাও।

 সতীশ। (জনান্তিকে) মা, লোহাব সিন্দুকের চাবি বাবাকে কিছুতেই দিয়ো না—বরঞ্চ আমার সেই ঘডির কথাটা তুলে ওঁর সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে ভুলিয়ে রেখো।

 সুকুমারী। এই যে মন্মথ আসচেন। এখনি সতীশকে নিয়ে বকাবকি করে’ অস্থির করে’ তুলবেন। আয় সতীশ, তুই আমার সঙ্গে আয়—আমরা পালাই।

প্রস্থান।

মন্মথের প্রবেশ

 বিধু। সতীশ ঘড়ি ঘড়ি করে’ ক’দিন আমাকে অস্থিব করে’ তুলেছিলো। দিদি তাকে একটা রূপোর ঘড়ি দিয়েছেন। আগে থাক্‌তে বলে’ রাখ্‌লেম, তুমি আবার শুন্‌লে রাগ ক’র্‌বে।

২০]