মন্মথ। আগে থাকতে বলে’ রাখ্লেও রাগ ক’রবো।—শোনো, লোহার সিন্দুকের চাবিটা—
বিধু। তুমি একলা বসে’ বসে’ রাগ করো আমি চ’ললুম, আমি আর সইতে পারচি নে।
মন্মথ। শশধর, সে ঘড়িটা তোমায় ফিরে নিয়ে যেতে হবে।
শশধর। তুমি যে লোহার সিন্দুক খুলতে যাচ্ছিলে, যাও না।
মন্মথ। সে পরে হবে, কিন্তু ঘড়িটা এখনি তুমি নিয়ে যাও!
শশধর। তুমি তো আচ্ছা লোক। ঘড়ি তো নিয়ে গেলুম; তার পর থেকে আমার সময়টা কাট্বে কি রকম? ঘরের লোকের কাছে জবাবদিহী ক’র্তে গিয়ে আমাকে যে ঘরছাড়া হ’তে হবে।
মন্মথ। না শশধর, ঠাট্টা নয়, আমি এ সব ভালবাসি নে!
শশধর। ভালবাস না, কিন্তু সহ্যও ক’র্তে হয়। সংসারের এই নিয়ম।
মন্মথ। নিজের সম্বন্ধে হলে নিঃশব্দে সহ্য ক’র্তেম। ছেলেকে মাটি ক’র্তে পারি না।
শশধর। সে তো ভালো কথা। কিন্তু স্ত্রীলোকের ইচ্ছার একেবারে খাড়া উল্টোমুখে চ’ল্তে গেলে বিপদে প’ড়্বে।—তার চেয়ে পাশ কাটিয়ে ঘুরে গেলে ফল পাওয়া যায়! বাতাস যখন উল্টো বয়, জাহাজের পাল তখন আড় করে’ রাখ্তে হয়, নইলে চলা অসম্ভব।
মন্মথ। তাই বুঝি তুমি গৃহিণীর সকল কথাতেই সায় দিয়ে যাও! ভীরু!
শশধর। তোমাব মতো অসমসাহস আমার নেই। যাঁর ঘরকন্নার