জেঠাইমা। কেন বাবা, ওগুলোতে এত লজ্জা কিসের? তাদের বাড়িতে কি কুট্নো কুট্বার নিয়ম নেই?
সতীশ। তা জানিনে জেঠাইমা, কিন্তু চা খাবার ঘরে ওগুলো রাখা দস্তুর নয়। এ দেখ্লে নরেন লাহিড়ি নিশ্চয় হাসবে, বাড়ি গিয়ে তার বোন্দের কাছে গল্প ক’র্বে।
জেঠাইমা। শোনো একবাব ছেলের কথা শোনো। বঁটি চুপড়ি তো চিরকাল ঘরেই থাকে। তা নিয়ে ভাই বোনে মিলে গল্প ক’রতে তো শুনি নি।
সতীশ। তোমাকে আর এক কাজ ক’রতে হবে, জেঠাইমা—আমাদের নন্দকে তুমি যেমন করে’ পার এখানে ঠেকিয়ে রেখো। আমার কথা শুন্বে না, খালি গায়ে ফস করে’ সেখানে গিয়ে উপস্থিত হবে।
জেঠাইমা। তাকে যেন ঠেকালেম, কিন্তু তোমাব বাবা যখন খালি গায়ে—
সতীশ। তিনি তো কাল কলম্বোয় যাবেন।
জেঠাইমা। বাবা সতীশ, যা মন হয় করিস, কিন্তু আমার ঘরটাতে তোদের ওই খানাটানাগুলো—
সতীশ। সে ভালো করে’ সাফ করিয়ে দেবো এখন।
জেঠাইমার প্রস্থান ও বিধুর প্রবেশ
বিধু। পারলুম না, জানো তো সতীশ, তিনি যা ধরেন, তা কিছুতেই ছাড়েন না। কত টাকা হ’লে তোমার মনের মত পোষাক হয় শুনি।
সতীশ। একটা মর্ণিং সুট তো মাসি অর্ডার দিয়েছেন, আর একটা