পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ বােধ
দ্বিতীয় দৃশ্য

কোর্ত্তা ফর্‌মাস দেবার জন্য ফিতা হাতে তার ছেলের গায়ের মাপ নিতে এসেছি। ওর আবার বুকের ব্যামো, ভয় হয়, পাছে আমাদেব কথায় উত্তেজিত হ’য়ে ওর বিপদ ঘটে। যা হোক, এ ব্যাপারটা কি হ’লো? তুমি ব’ললে চাবি চুরি, যে রকমটা দেখা যাচ্চে, তাতে কথাটা—

 বিধু। সবই তো শুনেছো। ব’লতে গেলে সতীশেরই জিনিষ, ওরই আপন প্রপিতামহের। আজ বাদে কাল ওরই হাতে আসতো, সেইটে নিয়েচে ব’লেই—

 শশধর। তা যা বলো বউ, কাজটা ভালো হয়নি, ওটা চুরিই বটে।

 বিধু। তাই যদি হয়, তবে প্রপিতামহের দান সতীশকে নিতে না দিয়ে উনি সেটা তালাবন্ধ করে’ রেখেচেন, সে ও কি চুরি নয়? এ গুড়গুড়ি কি ওঁর আপন উপার্জ্জনের টাকায়?

সতীশের প্রবেশ

 শশধর। কি সতীশ, খরচপত্র বিবেচনা করে’ করো না, এখন কি মুস্কিলে প’ড়েছো দেখ দেখি।

 সতীশ। মুস্কিল তো কিছুই দেখি নে।

 শশধর। তবে হাতে কিছু আছে বুঝি। ফাঁস করো নি।

 সতীশ। কিছু তো আছেই।

 শশধর। কত?

 সতীশ। আফিম কেনবার মতো।

 বিধু। (কাঁদিয়া উঠিয়া) সতীশ, ও কি কথা তুই বলিস্, আমি অনেক দুঃখ পেয়েছি, আমাকে আর দগ্ধাস্‌নে।

৩২ ]