শশধর। ছি ছি, সতীশ। এমন কথা যদি বা কখনো মনেও আসে, তবু কি মা’র সামনে উচ্চারণ করা যায়? বড়ো অন্যায় কথা।
সতীশ। (জনান্তিকে) মা, তোমাকেও বলে’ রাখি, আমি যেমন করে’ পারি, সেই নেকলেসটা ফিরিয়ে এনে বাবাব গুড়গুড়ি উদ্ধার করে’ তাঁর হাতে দিয়ে তবে এ বাড়ি থেকে ছুটি নেবো। বাবার সম্পত্তি যে আমার নয়, এ কথাটা খুব স্পষ্ট করে’ বুঝতে পেবেছি। আর যাই হোক, আমার প্রাণটা তো আমার, এটা তো বাবার লোহার সিন্দুকে বাঁধা পড়েনি, এটা তো রাখ্তেও পাবি, ফেল্তেও পারি।
সুকুমারীর প্রবেশ
বিধু। দিদি, সতীশকে রক্ষা করো। ও কোন্ দিন কি করে’ বসে। আমি তো ভয়ে বাঁচি নে। ও যা বলে, শুনে আমার গা কাঁপে।
সুকুমারী। কি সর্ব্বনাশ! সতীশ, আমার গা ছুঁয়ে বল্, এমন সব কথা মনেও আন্বি নে। চুপ করে’ রইলি যে। লক্ষ্মী বাপ আমার। তোর মা মাসির কথা মনে করিস।
সতীশ। জেলে বসে মনে করার চেয়ে এ সমস্ত হাস্যকব ব্যাপার জেলেব বাইরে চুকিয়ে ফেলাই ভালো।
সুকুমারী। আমরা থাকতে তোকে জেলে কে নিয়ে যাবে?
সতীশ। পেয়াদা।
সুকুমারী। আচ্ছা, সে দেখবো কত বড়ো পেয়াদা, ওগো, এই টাকাটা ফেলে দাও না, ছেলেমানুষকে কেন কষ্ট দেওয়া!
শশধর। টাকা ফেলে দিতে পারি, কিন্তু মন্মথ আমাব মাথায় ইঁট ফেলে না মারে!
সতীশ। মেসোমশায়, সে ইঁট তোমার মাথায় পৌঁছবে না, আমার