চারুবালা নন্দীর কাছে আসিয়া
চারু। মিষ্টার নন্দী, সুশীলের সঙ্গে আমার একটা কথা নিয়ে ঘোর তর্ক হ’য়ে গেছে, আপনাকে তার নিষ্পত্তি করে’ দিতে হবে—আমি বাজি বেখেছি—
নন্দী। যদি আমার উপরেই নিষ্পত্তির ভার থাকে, তা’হলে বাজিতে আপনি নিশ্চয়ই জিত্বেন।
চারু। না, না, আগে কথাটা শুনুন,—তার পরে বিচার করে—
নন্দী। যাদের faith নেই, সেই নাস্তিকরাই সব কথা আগাগোড়া শোনে, বিচার করে—কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে কতকগুলি জিনিষ আছে, শাস্ত্রে যাদের বলে অন্ধ। আমি দেবী-woshipper, অন্ধ ভক্ত।
চারু। আপনার কথা শুন্লেই স্পষ্ট বুঝতে পারি, আপনি অক্সফোর্ডে প’ড়েছেন। এখন আমাদের বাজে কথাটা শুনুন। সুশীল ব’ল্তে চায়, আমার এই শাডির রঙের সঙ্গে আমার এই জুতোর রঙ মানায় না।
নন্দী। সুশীল নিশ্চয় রংকাণা। আপনার সাড়ির সঙ্গে জুতোর চমৎকার ম্যাচ হ’য়েচে। যদি মাপ করেন তো বলি, আপনার এই রুমালটার রঙ—
চারু। এ বুঝি আমার রুমাল? এ যে নেলির,—সে জোর করে’ আমাকে দিলে—বহরমপুর না কোথা থেকে এই ফুলকাটা মুসলমানী ফ্যাশানের রুমাল কিনেচে। আমাকে ব’ল্লে, সাজের মধ্যে অন্তত একটা দিশী জিনিষ থাক্।
নন্দী। I see—মিস্ বোস্, আপনি টেনিসের next setএ পার্টনার ঠিক ক’রেচেন?