সতীশ। খুসি হবে? তবে দাও। (নেকলেস্ লইয়া) কিন্তু যে হাত দিয়ে তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিলে, সেই হাতেই তুমি আর এক জনের ব্রেস্লেট্ প’রেচো, সে যেন আমাকে—
নলিনী। ওতে কন্যার হাত নেই সতীশ, আছে কন্যাকর্ত্তার হাত। বাবা বিশেষ করে ব’লেছিলেন, আজ—
সতীশ। আচ্ছা, ঐ ব্রেস্লেট্ চিরদিনই তোমার হাতে থাকে—এই নেক্লেস্ কেবল কিছুক্ষণের জন্যে গলায় পরো, তার পরে আমি নিয়ে যাবো।
নলিনী। প’র লে বাবা রাগ ক’রবেন।
সতীশ। কেন?
নলিনী। তাহলে এই ব্রেস্লেট্ পরার দাম কমে’ যাবে।—ফের মুখ গম্ভীর ক’র্চো?
সতীশ। কথাটা কি খুব প্রফুল্ল হবার মতো?
নলিনী। নয় তো কি? তোমার কাছে যে আমি এত খুলে কথা বলি, তার কোনো দাম নেই? অকৃতজ্ঞ! মিষ্টার নন্দীর সঙ্গে আমি এমন করে’ কইতে পার্তুম? এবাব কিন্তু টেনিস্ কোর্ট থেকে যাও।
সতীশ। কেন যেতে ব’ল্চো, নেলি? এখানে আমাকে মানায় না?
নলিনী। না, মানায় না।
সতীশ। চাঁদনির কাপড় পরি বলে’?
নলিনী। সে একটা কারণ বই কি?
সতীশ। তুমি আমাকে এমন কথা ব’ল্লে?
নলিনী। আমি যদি তোমাকে সত্যি কথা বলি, খুসি হোয়ো, অন্যে ব’ল্লে রাগ ক’র্তে পারো।