পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ-বােধ
তৃতীয় দৃশ্য

 নলিনী। বড় দুঃসাধ্য তোমার তপস্যা, সতীশ—স্বর্গে তোমার কম্পিটিশন কার্ত্তিককে নিয়ে চাঁদকে নিয়ে—এখানে আছেন স্বয়ং মিষ্টার নন্দী। পেরে উঠ্‌বে না, কন্যাকর্ত্তাদের সব দামি দামি অর্কিড, ওঁরি ‘বাটন্ হোলে’ গিয়ে পৌঁচচ্ছে। ছেড়ে দাও আশা।

 সতীশ। অর্কিডের আশা ছেড়েছি, কিন্তু ঐ গোলাপের কুঁড়ি—

 নলিনী। ওটা বাবা যখন দোকান থেকে আনিয়ে দিয়েছিলেন, তখন কামনা ক’রেছিলেন, ওর সদ্গতি হয় যেন—

 সতীশ। অর্থাৎ—

 নলিনী। ঐ অর্থাতের মধ্যে অনেকখানি অর্থ আছে।

 সতীশ। আর আমি যে তোমার স্তব করে’ মরি, তার মধ্যে যতটা শব্দ আছে, ততটা অর্থ নেই?

 নলিনী। যদি কিছু থাকে, সে কন্যাকর্ত্তাদের অমর লোকের উপযুক্ত নয়।

 সতীশ। অতএব আমাকে সদ্য স্বর্গপ্রাপ্তির চেষ্টা ক’র্‌তে হবে। চ’লেম তবে সেই তপস্যায়।

নন্দীর প্রবেশ

 নন্দী। Hallo সতীশ বাবু। ও কি ও! সেই নেক্‌লেস টা নিয়ে চ’লেচো যে। সে দিন তো এল্‌বাম নিয়ে সরে’ প’ড়েছিলে, আজ নেক্‌লেস্?, Bravo! you know how to eat pudding and yet to keep it।

 সতীশ। বুঝ্‌তে পার্‌চিনে আপনার কথা।

 নন্দী। আমরা যা দিই, তা ফিরে নিই নে, তার বদলেও কিছু ফিরে

[৪৭