লাহিড়ি। তাড়া আমাকে দিতে হবে না, তাব ঘরের মধ্যেই তাড়া দেবার লোক আছে। সবই প্রায় ঠিকঠাক এখন কেবল একটা আইনের খট্কা উঠেছে—এক ছেলেকে পোষ্যপুত্র লওয়া যায় কি না—তা ছাড়া সতীশেব আবার বয়স হ’য়ে গেছে।
জায়া। আইন তো তোমাদেরই হাতে— তোমরা চোখ বুজে একটা বিধান দিয়ে দাও না।
লাহিড়ি। ব্যস্ত হয়ো না—পোষ্যপুত্র না নিলেও অন্য উপায় আছে।
জায়া। আমাকে বাঁচালে। আমি ভাব ছিলেম সম্বন্ধ ভাঙি কি ক’রে। আবার আমাদের নেলি যে বকম জেদালো মেয়ে, সে যে কি করে’ ব’সতো বলা যায় না। কিন্তু তাই বলে’ গবীবের হাতে তো মেয়ে দেওয়া যায় না। ঐ দেখ, তোমাব মেয়ে কেঁদে চোখ ফুলিয়েছে।
লাহিড়ি। কিন্তু নেলি যে সতীশকে ভালবাসে, সে তো দেখে মনে হয় না। ও তো সতীশকে নাকের জলে চোখের জলে করে। এক সময়ে আমি ভাব তুম, নন্দীর ওপরেই ওর বেশি টান।
জা। তোমার মেয়েটির ঐ স্বভাব—সে যাকে ভালবাসে, তাকেই জ্বালাতন করে। দেখ না বিড়ালছানাটাকে নিযে কি কাণ্ডটাই করে! কিন্তু আশ্চর্য্য এই, তবু তো ওকে কেউ ছাড়্তে চায় না।
নলিনীর প্রবেশ
নলিনী। মা, একবাব সতীশবাবুর বাড়ি যাবে না? তাঁর মা বোধ হয় খুব কাতর হ’য়ে প’ড়েছেন। বাবা, আমি একবার তাঁর কাছে যেতে চাই।