পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ-বােধ
চতুর্থ দৃশ্য

 বিধু। আহা, তাই হোক্—নইলে তোর উপায় কি হবে, সতীশ? হে ভগবান্, তুমি যেন—

 সতীশ। এ যদি না হয়, ঈশ্বরকে আমি আর মান্‌বো না; কাগজে নাস্তিকতা প্রচার ক’র্‌বো। কে বলে তিনি মঙ্গলময়।

 বিধু। আরে চুপ চুপ, এখন অমন কথা মুখে আন্‌তে নেই। তিনি দয়াময়, তাঁর দয়া হ’লে কি না ঘট্‌তে পারে। সতীশ, আজ বুঝি ওদের ওখানে যাচ্চিস্?

 সতীশ। হাঁ।

 বিধু। তোর সেই সাহেবের দোকানের কাপড় পরিস্ নি যে?

 সতীশ। সে সব পুড়িয়ে ফেলেছি।

 বিধু। সে আবাব কবে হ’লো?

 সতীশ। অনেক দিন। টেনিস্ পার্টিতে নলিনীকে কথা দিয়ে এসেছিলেম।

 বিধু। সে যে অনেক দামের!

 সতীশ। নইলে পোড়াবার মজুরী পোষাবে কেন? স্বর্ণলঙ্কারও তো অনেক দাম ছিলো।

 বিধু। তোমাদের বোঝা আমার কর্ম্ম নয়! যাই, দিদির খোকাকে নাওয়াতে হবে।

প্রস্থান।

সুকুমারীর প্রবেশ

 সুকুমারী। শতীশ!

 সতীশ। কি মাসিমা!

[ ৫৫