এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শ্মশানের ফুল।
আশা সহচরী
বড় সাধ ছিল মনে, সখের কুসুম বনে
ওরে মোশা তোর সনে কত খেলা খেলিব
দুই জনে মিলে মিলে কত ফুল তুলিব।—
কত পাখী গাছে ব’সে, গান গাবে নব রসে
বনমাঝে দুইজনে তরুতলে বসিয়া
কত সুখ লভিবরে সেই গান শুনিয়া।—
শান্তির মলয়ানিলে দুটী সহচরী মিলে
নিরজনে সেইখানে কতহাসি হাসিব
শশীর অমিয়মাখা মুখখানি হেরিব।—
ঐ তটিনীর বুকে তুলিয়া লহরী সুখে
জীবনের ক্ষুদ্রতরি আশা ধীরি বাহিবে
কত যে নূতন দেশে নিত্য নিত্য আনিবে।—
তোরে বাঁধি ভুজপাশে, রাখি তোরে আশে পাশে
তোর ঠাঁই শিখিবরে তোর সেই ছলনা
সাধে বাদ সাধিলেন কেন বিধি বলনা?
কেন সে কৌমুদী রাশি, কেন সে ফুলের হাসি
কেন সে মলয় আজি হাসাইতে পারে না
কেন রে বিহগে আর সে সঙ্গীত গাছে না?–
সুধাকরে নাহি সুধা রত্নশূন্য কি বসুধা
কিংবা ঐ নির্ঝরিনী নাচেনাকো লহরে
জানেনা কি শোভা ছিল হৃদয়ের ভিতরে?–
৫৫