পাতা:শ্যামলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@br বেলা তো কাটে না, বসে থাকি জোয়ার জলের দিকে চেয়ে ভেসে যায় মুক্তি-পারের খেয়া, ভেসে যায়। ধনপতির ডিঙা, ভেসে যায় চলতি বেলার আলোছায়া এমনসময় বাজে তোমার বঁাশি ভরা জীবনের সুরে । মরা দিনের নাড়ীর মধ্যে দক্‌দবিয়ে ফিরে আসে প্ৰাণের বেগ । কী বাজাও তুমি, জানি নে সে-সুর জাগায় কার মনে কী ব্যথা বুঝি বাজাও পঞ্চমর্যাগে দক্ষিণহাওয়ার নবযৌবনের ভাটিয়ারি। শুনতে শুনতে নিজেকে মনে হয় যে ছিল পাহাড়তলির ঝিরুঝিরে নদী, তার বুকে হঠাৎ উঠেছে ঘনিয়ে শ্রাবণের বাদলরাত্ৰি । সকালে উঠে দেখা যায়, পাড়ি গেছে ভেসে, , একগুয়ে পাথরগুলোকে ঠেলা দিচ্ছে অসহ্য স্রোতের ঘূর্ণিমাতন। আমার রক্তে নিয়ে আসে তোমার সুর ঝড়ের ডাক, বন্যার ডাক, আগুনের ডাক,