পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

]ሳ»/° হইয়াছিল। তাহ যে পারিয়াছিল, সেই লইয়া গিয়াছিল। সহসা গভৰ্ণমেণ্ট তাঁহাকে স্থানান্তরিত করাতে এই খনন-কাৰ্য্য বন্ধ হইয়া গিয়াছে। এখন স্তুপগুলি বৎসরের পর বৎসর বর্ষার জলে মাটীর নীচে বসিয়া যাইতেছে। এই বাজাসনের সংলগ্ন পশ্চিম প্ৰান্তে যে গ্রাম-তাহার নাম নান্না। - ‘নান্ন’ শব্দ পূর্ববঙ্গে ‘মুণ্ডিত মস্তক’ অর্থে ব্যবহৃত হইত। সম্ভবতর বাজাসন বা বজাসনের মুণ্ডিতশির ভিক্ষুরা এই গ্রামে বাস করিতেন। এই গ্রামে যে কালী প্রতিষ্ঠিত আছেন তাহা বহু প্ৰাচীন। বৌদ্ধ প্ৰতিপত্তি লোপের শেষদিকে এই বাজাসন বিহার ঘোর তান্ত্রিকতার ব্যভিচারে পূর্ণ হইয়াছিল ; এখনও লোকের কথায় প্রচলিত আছে-“সুয়াপুর নান্না, মদে ভাতে পান্না।” দিবাকর দীঘি যেখানে ছিল, তাহা খুড়িয়া অনেক নরকঙ্কাল পাওয়া গিয়াছে, প্ৰবাদ এইস্থান ডাকাতদের আডিডা ছিল -অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূর্বে নিম্ন শ্রেণীর বুদ্ধের কলহ করিয়া বলিত “তোকে দিবাকরে দিব”-দিবাকর তখন শ্মশান-ঘাটার বিভীষিকার প্ৰবাদ জড়িত ছিল। এই পল্লীতে ভদ্রবংশের পুরুষ ও স্ত্রীরাও যে ভৈরবী-চক্ৰে বসিয়া নির্লজ ব্যবহার করিতেন, তাহার প্রমাণ আছে । ১৮৩২ খৃষ্টাব্দে এই গ্রামবাসী রমানাথ সেন চণ্ডালের শবের উপর বসিয়া তান্ত্রিক যোগ সিদ্ধি লাভ করিতে প্ৰয়াসী হইয়া এক অমাবস্যা রাত্রে নিহত হন, লোকে বলে তিনি ভূতের হাতে মারা গিয়াছিলেন, তাহার গণ্ডদেশে ভীষণ চাপড়ের দাগ ছিল । সেদিন পৰ্য্যন্তও মদের প্রবাহ এই অঞ্চলে অবাধে চলিয়াছিল। শিবশঙ্কর দাশের সময় পৰ্য্যন্ত দাশবংশের এতটা সমৃদ্ধি ছিল যে, এই