পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল ধীরে ধীরে তঁহাকে ডাকিল। সেই ডাকে রমণীর ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। সদ্যঃ জাগ্ৰত চোখ দুইটি রক্তবর্ণ, তিনি বলিলেন--“আমার বড় জ্বর হইয়াছে। আমি চোখ মেলিতে পারিতেছি না । সাঝের দীপ জালিতে পারি নাই এবং তোমার জন্য রান্নাও চড়াইতে পারি নাই। বাবা, আমার মনে হইতেছে, আমার আসাক্ষাকাল উপস্থিত। আমি শুনিয়াছি, শ্ৰীপুরের অবলোকিতেশ্বরের মঠ এখান হইতে দূরবর্তী নহে। আপনি সেই মঠ হইতে দুই একজন সন্ন্যাসী আনিয়া তাহদের উপর আমার ভার দিন। নতুবা আমাকে লইয়া বিপন্ন হইবেন।” অবলোকিতেশ্বরের মঠ বাস্তবিকই অতি নিকটে। বর্ষীয়ান কৃষক তখনই আশ্রম হইতে দুইজন সন্ন্যাসীকে ডাকিয়া আনিলেন। র্তাহীদের মধ্যে একজন হিন্দুস্থানী, খর্বাকৃতি, নাসিক উন্নত নহে,-বরং কিছু চেপ্টা, তাহার বয়স বেশী। দ্বিতীয়জন বাঙ্গালী, দীর্ঘাকৃতি, আয়তলোচন, সুগঠিত, সুঠাম দেহ। তঁহার বয়স পঞ্চাশের কিছু উৰ্দ্ধে হইবে। বউরাণী সেই বাঙ্গালী সন্ন্যাসীকে হস্তদ্বারা ইঙ্গিত করিয়া কাছে ডাকিলেন এবং অপর সকলকে সেই স্থান ত্যাগ করিয়া যাইতে বলিলেন। সন্ন্যাসী তাহার নাড়ী পরীক্ষা করিয়া বলিলেন, “আপনার বেশী সময় নাই। ক্রমাগত দেহ নিৰ্য্যাতনের ফলে আপনার ত্রিদোষযুক্ত জর হইয়াছে। আর দুই ঘণ্টা কাল আপনি বঁাচিবেন কিনা সন্দেহ ।” । অতি ক্ষীণস্বরে রাণী কহিলেন—“এই নশ্বর দেহের পতন bም ዓ