পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

jभ & ष्व् সৈন্যেরা ঘোর কলরব করিয়া চলিয়াছে। পদাতিকদের অনেকের মুখে লৌহের মুখোস পরা ! মুখোসগুলি ভূত, প্ৰেত, দানব ও রাক্ষসের মুখের মত। হস্তে তীক্ষ বর্শা, কাহারও তদপেক্ষা ক্ষিপ্র, তদপেক্ষ দৃঢ় বঁাশের লাঠি, কৃত্ৰিম সুদীর্ঘ বক্রাকার গোপ ও বিকটদন্ত রাক্ষসমুখ কালো বর্ণের মুখোসে—এই সকল পদাতিকগণকে দেখিলে মনে হয় যেন ইহারা যমরাজের দূত। এই সৈন্যেরা জাভা, সুমাত্রা, বালি জয় করিয়াছে। ইহারা সমুদ্রের পাখীর ন্যায় মুক্তপথের যাত্রী। ইহারা এত দুৰ্দ্ধৰ্য যে, ইহাদিগকে ঠেকাইতে পারে, এরূপ শক্তি, বাঙ্গালা, কলিঙ্গ ও তেলেগু ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোন স্থানের নৌ-বলের নাই। বলা বাহুল্য, সাভারের কিরাত-সৈন্যেরাও উভচর প্রাণী; তাহারাও জলে, স্থলে চিরজয়ী। সাভারের নৌ-বলেরও প্রধানতঃ কৈবৰ্ত্তনেতা । তাহদের প্রধানের নাম “প্ৰচণ্ড” । দুই পক্ষের নৌবল মুখোমুখী হইয়া দাড়াইয়াছে। দুইদল হইতেই কামান দাগ হইতেছে। বন্দুকের গুলি ও তীরন্দাজের তীর শর। শন শন করিয়া ছুটিয়াছে। যুদ্ধের বাদ্য কাড়া, নাকাড়া বাজিতেছে। কিন্তু ধলেশ্বরীর তরঙ্গের গর্জনে রণ-দুন্দুভির সুরও যেন ডুবিয়া গিয়াছে। “উভয় দল হইতে নিহত সৈন্য মুহুৰ্ত্ত মধ্যে সাগর-সঙ্গমে যাইয়া পড়িতেছে, তথা হইতে সহস্ৰ সহস্ৰ শব বুদ্ধদের মত বঙ্গোপসাগরের বক্ষে লীন হইতেছে। সাত দিন সাত রাত্রি অবিরাম যুদ্ধ চলিতেছে। বাজাসনের ডিঙ্গিগুলি তবুও একতিল SV)