পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gaya vs kesa বর্তমান বন্দুকধারী ও কামান দাগিবার লোকগুলি এই পাঁচ-ছয় হাজার সৈন্য রোধ করিতে যাইয়া তাহদের সমস্ত গোলাগুলি ও শার ব্যয় করিয়া ফেলিবে । এই ব্যবস্থা এত দ্রুত ও আকস্মিক ভাবে করিতে হইবে যেন, তাহারা পুনঃ তদ্রুপ সরঞ্জাম সহসা সংগ্ৰহ করিয়া উঠিতে না পারে। ইতিমধ্যে আমাদের পঞ্চাশ ষাট হাজার ধনুকী ও বন্দুকধারী সৈন্য হঠাৎ তাহদের ডিঙ্গির বৃ্যহে প্ৰবেশ করিয়া তাহাদিগকে একেবারে নিক্রিয় ও অক্ষম করিয়া ফেলিবে । এই প্ৰস্তাবের মধ্যে একটা দিকে বিপদ আছে। অগ্রগামী পাঁচ-ছয় হাজার সৈন্যের জীবন রক্ষা কঠিন হইবে, তাহাদিগকে মৃত্যুপণ করিতেই হইবে। সেনাপতি ও যুবরাজ উভয়েই এই প্ৰস্তাব অনুমোদন করিলেন। “তবে যে পাচ-ছয় হাজার সৈন্য প্ৰথমে অভিযান করিবে, তাহারা কে? তাহদের একেবারে মৃত্যুপণ করিয়া রওনা হইতে হইবে।” শ্যামল বলিলেন-আমি যাইব, যুবরাজও আগ্রহ দেখাইলেন এবং সেনাপতিও তখনই অগ্রসর হইতে উদ্যত হইলেন। দুলুই কৈবৰ্ত্ত বলিল—“ইহা আপনাদের কৰ্ম্ম নহে। আমরা রাজ্য রক্ষার জন্য প্ৰস্তুত হইয়া আসিয়াছি। রণক্ষেত্রে মৃত্যুই আমাদের কাম্য, আমরা তজ্জন্য প্রস্তুত। আপনাদের দ্বারা যুদ্ধের আরও বিস্তর কাজ আছে । আপনার ইচ্ছা করিয়া এখনই জীবন নষ্ট করিলে বৃদ্ধ মহারাজ এখনই শোকে প্ৰাণত্যাগ করিবেন। যুদ্ধে জয়ী হইবে কে ? বাজাসনের উপর আক্রমণ SNA