পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল । দিলেন। তাহদের গায়ে আগুনের ফোস্কা, চুল ও ভ্ৰ পুড়িয়া গিয়াছে ; তীব্ৰ ক্ৰন্দন করিতে করিতে তাহারা বাহির হইয়া পড়িল। কিন্তু সেই তরুণ যোদ্ধা তোরণ অতিক্ৰম করিবার মুহুর্তে অকস্মাৎ যেন উহা কঁাপিয়া উঠিল এবং সেই অৰ্দ্ধ দগ্ধ হৰ্ম্ম্য-চুড়া তাহার মাথার উপর ভাঙ্গিয়া পড়িল। সে এত বড় বিরাট স্তুপ যে, তন্মধ্যে র্তাহাকে আর কেহ দেখিতে পাইল না। । কিন্তু এই ব্যাপারটার কারুণ্য এখানেই শেষ হয় নাই। চারিদিক হইতে হায় হায়’ শব্দ উখিত হইল। যেন সমস্ত সাভার রাজধানী ‘হায় হায়’ রবে হাহাকার করিয়া উঠিল। ধলেশ্বরীর উত্তাল তরঙ্গ যেন ক্ষণেকের জন্য থামিয়া গেল। “হায়! হায়!” কেহ বক্ষে করাঘাত করিতেছে, কেহ শোকে নিজ চৰ্ম্ম কামড়াইয়া ছিড়িয়া ফেলিতেছে, কেহ বা মাথার চুল উপড়াইয়া ফেলিতেছে। রোজ ত চোখের সামনে শত সহস্ৰ লোক প্ৰাণত্যাগ করিতেছে,— কিন্তু আজ এ সার্বজনীন আত্তি কেন ? “কি হইয়াছে, কাহার সর্বনাশ হইয়াছে ?” যে জানে না, সে জিজ্ঞাসা করিতেছে। কিন্তু কেহ উত্তর দিতেছে না, সকলেই বলিতেছে, “হায় ! হায় ।” কতকগুলি লোক প্ৰাণের মমতা ত্যাগ করিয়া সেই প্ৰজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডের রাশি রাশি উত্তপ্ত ইষ্টক সরাইয়া ফেলিল। কড়ি ও বরগা জ্বলিতেছে, লোহার শৃঙ্খলে,-"তাঁহাদের একটা দিক বাধিয়া হাতী দিয়া সেগুলি টানিয়া ফেলান হইল। সেই তরুণ যোদ্ধাকে বাহির করা হইল। তিনি অনন্ত শয়নে শায়িত। উদর হইতে পদাঙ্গুলী পৰ্যন্ত সকলই পুড়িয়া ছাই হইয়াছে, বক্ষ-পঞ্জর তােরণের ' > o R