পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল মুক্ত করিয়া নদীতে ডুবিয়া মরিতে যাইতেছিলেন। র্তাহার কান্নায় পাষাণ গালিয়া গিয়াছিল।” যুদ্ধ থামিল না। মহেন্দ্র সেন সিংহাসন ত্যাগ করিয়া মহারাণী সহ তীর্থে গমন করার পর মন্ত্রী নূতন করিয়া যুদ্ধের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। সুয়াপুর রাজধানী হইতে প্ৰাপ্ত আদেশে সেনাপতি সর্দার শৈবাল রায় সাভারের মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়া বিষয়টার কোন আপোষ নিম্পত্তি হয় কি না, তাহার জন্য চেষ্টত হইলেন। শৈবাল রায় তাহার স্বগণ ও দেহরক্ষী উল্কা রায়ের সঙ্গে সাভারের মন্ত্রীর বাড়ীতে গেলেন ; তঁাহার জন্য র্তাহাদিগকে কিছুকাল প্ৰতীক্ষা করিতে হইল, তিনি বাহিরে গিয়াছিলেন। ইহার মধ্যে একটি অপরূপ সুন্দরী কুমারী বাহির হইয়া আসিলেন। সাভারের বৌদ্ধসমাজ একটু অগ্রসর। কুমারী আব্রু রক্ষা করেন নাই। তিনি নিঃসঙ্কোচে একখানি কারুকাৰ্য্য-খচিত পাখী দাসীর হাতে দিয়া তাহাকে বলিলেন, অভ্যাগতদিগকে হাওয়া করিতে। কুমারীর আদেশে এক চামরধারিণী আসিয়া স্বর্ণদণ্ড একটি চামর দোলাইয় তাহাদিগের পরিচর্য্যা করিতে লাগিল। কুমারী এই দুই বিদেশী অতিথির মনস্তুষ্টির জন্য যেন অত্যধিক ব্যস্ত। যদিও বাহিরের গতিবিধির মধ্যে কুমারীর কোন লজ্জা বা দ্বিধার ভাব নাই, তথাপি তাহার বিনম্র মাধুরী শৈবাল সর্দারের দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। মুখখানি লাবণ্যে ”চল Se