পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল এই সময় মন্ত্রী উপস্থিত হইয়া ইঙ্গিতে সর্দারকে ডাকিয়ার্তাহার দরবার গৃহে লইয়া গেলেন। উল্কা রায়কে সেখানে অপেক্ষা করিতে বলিয়া সর্দার দরবার-গৃহে প্ৰবেশ করিয়া দেখিলেন, একখানি রৌপ্যমণ্ডিত সুন্দর সিংহাসন গৃহের মধ্যভাগে ; তাহা হইতে কতকটা দূরে, নীচে একখানি সাধারণ আসন। মন্ত্রী রৌপ্য সিংহাসনে বসিয়া সর্দারকে নিয়াসনে বসিতে বলিলেন। বয়সের আধিক্য নিবন্ধন সর্দারের রক্ত কতকটা শীতল হইয়া গিয়াছিল। তিনি এই অপমান সহিয়া লইলেন। কতকটা উষ্ণ স্বরে মন্ত্রী জিজ্ঞাসা করিলেন-“সর্দার, আপনার আমার কাছে কি দরকার ?” i হয়ত মন্ত্রী তখন ভাবিতেছিলেন, সাভারের ভাবী রাজার মাতামহের সম্মান রাজারই মত এবং চণ্ডাল সর্দার ঊর্তাহার তৃত্য শ্রণীর মধ্যে গণ্য । সেনাপতি বুঝাইয়া বলিলেন- “বাজাসন-রাজ্য আপনাদের উপযুপরি বিপদে নিতান্ত দুঃখিত হইয়া সন্ধির প্রস্তাব পাঠাইয়াছেন। আশা করি, যাহাতে যুদ্ধ এখানেই থামিয়া যায়, আপনারা তাহার ব্যবস্থা করিবেন।” অতিশয় ক্রুদ্ধ স্বরে মন্ত্রী বলিলেন- “যুদ্ধ হইলে জয়-পরাজয় এবং মৃত্যু ঘটিয়া থাকে। আমাদের রাজা ও রাজমন্ত্রী এখনও জীবিত। অসংখ্য কিরাত-সৈন্য এখনও আমাদের জন্য যুদ্ধ করিয়া প্ৰাণ দিতে প্ৰস্তুত। যুবরাজ নিহত হইয়াছেন ; লোকে বলে অন্যায় করিয়া অৰ্দ্ধদগ্ধ তােরণটা আপনাদের লোকেরাই ঠেলিয়া ফেলিয়া