পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sjistri ve tejet এক বৎসরের অধিক কাল যুদ্ধ চলিয়াছে। এই যুদ্ধে ধল্লা, কুরুঙ্গই, ব্রোউয়া, সাভার, তেলেঙ্গা প্ৰভৃতি স্থানের জোয়ান ছেলেরা সকলেই রণাঙ্গণে।। চণ্ডাল, কৈবৰ্ত্ত, ঢুলী, মালী, তেলী, নাপিত, ব্ৰাহ্মণ সকলেই এই যুদ্ধে আহত এবং বাজাসনের গৌরব রক্ষার জন্য প্ৰাণপণ করিয়া লড়িয়াছে। : এদিকে রাজা ও মুস্ত্রী উভয়েই বৃদ্ধ। সেনাপতি, যুবরাজ ও শ্যামল গৃহছাড়া। এই সময় বাজাসনের অধ্যক্ষ পরিব্রাজক ফাহাউচ নিজের ইচ্ছানুসারে অবারিত প্ৰভুত্ব চালাইয়াছেন। তেলেগু : দেশীয় এক ধূৰ্ত্ত সিদ্ধার কথায় তিনি দুশ্চর তান্ত্রিক তৎস্যা করিতেছেন। তিনি নিজে তো সিদ্ধিলাভ N সনের সমস্ত ভিক্ষুকে তিনি সিদ্ধির পখ দেখাইবেন । সিদ্ধিলাভের পর সমগ্ৰ আৰ্য্যাবৰ্ত্তের আধিপত্য লাভ তিনি করিবেন। ভিক্ষু নিবাস নান্নার গ্রামের মহারাস্ত্রী সর্বময়ী “ভীষণা” কালী বিগ্রহকে সমস্ত জগৎ উৎসর্গ করিয়া তিনি অবাধ কর্তৃত্ব চালাইবেন। তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের উপর তাহার অগাধ বিশ্বাস। তঁহার গুরুর শিক্ষা মত কতকগুলি উৎকট পাহাড়িয়া বিষাক্ত লতাপাত মন্ত্রপূত করিয়া তাহার অঞ্জন চােখে দিতে দিতে র্তাহার চোখ প্ৰায় নষ্ট হইয়া গিয়াছে। তথাপি তাহার এই সকল অনুষ্ঠানের উপর বিশ্বাস অটুট। তান্ত্রিক ব্যাভিচারের ফলে নানাবিধ উৎকট ব্যাধি তাহার দেহে প্ৰবেশ করিয়াছে। সেই সকল ব্যধির ফলে তঁহার শিরা উপশিরা ফুলিয়া শরীরের উপর এক এক স্থানে মাংস পিণ্ডের সৃষ্টি করিয়াছে। তঁহাকে দেখিতে