পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

புர் শ্যামল ও কাজল বসিয়া পঞ্চমকারের সাধনা করে, অপর এক শ্রেণী ভাব-রাজ্যে আরোহণ করিতে চেষ্টত । শেষোক্ত দলে কোন তান্ত্রিক সাধনা নাই। দেহ-সাধনা সম্পূর্ণ করিবার জন্য তাহারা যে কত রুচ্ছ, সহ করে, তাহা আর কি বলিব ? তাহারা প্রণয়ী ও প্ৰণয়িণীর প্রেমে আত্মোৎসর্গ করিয়াছে ; তজ্জন্য তাহারা আহারনিদ্রা ত্যাগ করে। গুরুপরিজন পরিত্যাগ করিয়া কলঙ্কের ডালি মাথায় লইয়া ঘর ছাড়িয়া যাওয়া গৌররাজনক মনে করে। প্ৰণয়ী ও প্ৰণয়িণীরাই ইহাদের উপাস্য। ইহারা বলে-“সীতাসাবিত্রীর দেহ পবিত্র হইতে পারে, এই হিসাবে তাহারা সতী । কিন্তু প্রেমের সন্ধান তাহারা কোথায় পাইবে ? তাহার। মৃত্যুর পর স্বর্গে যাইবেন, এই ভরসায় সহমরণ যান, তাকাদের শ্মশানে মঠ উঠিবে, লোকেরা ছড়া বাধিয়া তাহদের প্রশংসা গাহিবে, স্বজনেরা তাহাদিগকে লইয়া গৌরব করিবে, ইহাই তাহদের মূলতঃ লক্ষ্য। সুতরাং তাহদের মধ্যে প্ৰেম আছে কিনা এবং থাকিলেও কতটুকু আছে, বিভিন্ন উপাদান হইতে তাহা বাছিয়া লাইবার উপায় নাই। কিন্তু যাহারা প্রেমের জন্য সর্বত্যাগী, কলঙ্ক যাহাঁদের অঙ্গের ভূষণ, স্বামীকুল, পিতৃকুল, উভয় কুলই যাহারা কুণ্ঠগ্ৰস্ত রোগীর ন্যায় ত্যাগ করিয়াছে, সেই নিন্দার তিলকপর সর্বত্যাগী প্রেমের যোগী ও যোগিনীরাই প্রেমের প্ৰকৃত সাধনা দেখাইতেছেন।” – এদলেও অনেক লোক ভিড়িয়াছে। কারণ তরুণ বয়সে যৌন প্রেমের আকর্ষণ বড় শক্তিশালী। কিন্তু শেষ পৰ্যন্ত এ দলে S38