পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዘo/° মাটীর খেলনা ও অপরাপর পুরাতন ভাঙ্গা নিদর্শন পাওয়া গিয়াছে। শুনিয়াছি, এই গ্রামে মাঝে মাঝে প্রাচীন মুদ্রাও পাওয়া যাইত। রজনী চক্ৰবৰ্ত্তীর “গৌড়ের ইতিহাসে” সুয়াপুর গ্রামে যে এককালে রাজধানী ছিল তাহার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বস্তুতঃ ধামরাই, সাভার, সুয়াপুর, বাজাসন ও রোউয়া প্ৰভৃতি গ্ৰাম লইয়া যে বৃহৎ ভূখণ্ড ঢাকার পশ্চিম প্ৰান্তে অবস্থিত, তাহাতে অনেক ঐতিহাসিক উপকরণ আছে। দুঃখের বিষয় ইহার কোন যথোচিত অনুসন্ধান এখনও হয় নাই। এই অঞ্চলের আরও কয়েক মাইল পশ্চিমে সুপ্ৰসিদ্ধ দাসর গ্রাম। সম্ভবতঃ টলমির মানচিত্রে এই গ্রামও নিকটবৰ্ত্তী বানিয়াজুরী (বেসুয়াজুরম) পল্লীর উল্লেখ আছে। দােসর গ্রামে গুপ্ত রাজত্বকালের একটি ভগ্ন প্ৰস্তর স্তম্ভ মাটীর বহু নিম্নে পাওয়া গিয়াছে। এই সকল উপকরণ স্বপ্লবৎ আমার মানস চক্ষের সামনে রাখিয়া কল্পনার ঘোড়দৌড় চালাইয়া আমি এই গল্পটি রচনা করিয়াছি। আমার প্রধান লক্ষ্য কোন ঐতিহাসিক প্রশ্নের সমাধান নহে। কিন্তু কেন যে পূর্ব বঙ্গের এক বৃহৎ সংখ্যা-গরিষ্ঠ হিন্দু-সম্প্রদায় মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিল, তাহার সামাজিক কারণ নিৰ্দ্ধারণ করা । সে চেষ্টায় আমি কতটা কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি--তাহার বিচারক আমি নহি । হিন্দু-শাসনের শেষ সময়ে সমাজ-গুরুগণের নির্দেশে এই সমাজের অনেক বর্ণ পূর্ব গৌরব-বিচ্যুত হইয়া হীনপ্ৰভ হইয়া পড়িয়াছিলেন। কৈবৰ্ত্তগণ পূর্বকালে সমাজে একটা বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়াছিলেন। তঁহাদের মধ্যে দিকেবাকি, রুদোক, ভীম প্রভৃতি গৌরাধিপেরা বরেন্দ্র মণ্ডলে শৌৰ্য-বীৰ্য্য ও বিদ্যা-বুদ্ধির