পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शुभव्ल ७ कडधवन - সেই কাল্পনিক, বিকট দৈত্য-দানবকে ‘নেতি’ ‘নেতি’ বলিয়া, তাড়াইতেছে। কোন স্থানে একটি মৃতের কত্তিত বাহু বায়ুতে বুলাইয়া কোন ভৈরবী সেই বাহুতে তাহার ইষ্টদেবের ভর। হইয়াছে, এই ঘোষণা করিতেছে। শত শত ভিক্ষু আসিয়া সাক্ষ্য দিতেছে, হঁ, গুরুকে সেও হাতের কাছে দেখিতে পাইতেছে। কি। সুন্দর তঁাহার হাসি ! তাহার গেরুয়া, উত্তরীয়, তাহার গ্রীবায় কি। অপূৰ্ব্ব মাধুরী বিলাইয়া বুলিতেছে! তাহার বক্ষ বিশাল, চক্ষু বিশাল, তাহার দেহ মাংসপেশীবহুল, বলিষ্ঠ কি অপূর্ব রূপ ! কতকগুলি রমণী সেই ভৈরবীর পা ধরিয়া বসিয়া আছে ও মুহুমুহুঃ তাহাদের নিজ কপালে তাহার পদব্রজঃ লেপন করিতেছে, ভৈরবীর কণ্ঠে জবাফুলের মালা, রক্ত-চন্দনের ফোটা ও ত্রিপুণ্ডক । --- কানাই নদের কূলের সেই অংশ প্রায় এক মাইল স্থান-ব্যাপী, অমাবস্যা রাত্ৰিতে তথায় এইরূপ বীভৎস উৎসব চলিতে থাকে। সহজিয়া গুরু কতকটা তরুণ বয়স্ক, একস্থানে বসিয়া উপদেশ দিতেছেন। রমণী-শ্রোতারা সেই সকল উপদেশ বেদ-বাক্য হইতেও বেশী বিশ্বাস করিতেছে। তাহার ভাষা হেঁয়ালীপূৰ্ণ, গান। হেঁয়ালীপূর্ণ। কখনও গানে বলা হইতেছে-“বাদুর, তোর লেজ কেন নীচের দিকে ঝোলে, তুই সন্ধ্যাকালে কেন চক্ষে দেখিস, দিবালোকে পলাইয়া থাকিস কেন ?” কোন গানে বলা হইতেছে“ওরে দুধের পাহারায় বিড়াল-প্রহরী নিযুক্ত করেছিস।” এই সকল রহস্য গুরু যেমন বুঝাইতেছে, রমণী-শ্রোতারাও সেইরূপ বুঝিতেছে। গুরুজীর প্রসাদী উচ্ছিষ্ট্রের জন্য সে কি sbr