পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, শ্যামল ও কাজল এক সভ্রান্ত কৈবৰ্ত্ত তাহার অন্তরঙ্গ বন্ধুকে ‘কলিল,-“কই, ‘আমার স্ত্রী তো কখনও এমন ছিল না। এই বাজাসনের গুরুর কাছে যাইয়া ধৰ্ম্মোপদেশ শুনিবার পর হইতে সম্পূর্ণ বদলাইয়া গিয়াছে।” —“সে কি ? তাহার পর দিন কি সে বাড়ীতে ফিরে নাই ?” -“ফিরিয়াছে বই কি ?” —“তবে ?” —“তবে আর কি ? যেমনটি সে ছিল, তেমনটি আর তাকে পাই নাই।” -“সে ব্যভিচার করে, এমন কোন সংবাদ পাইয়াছে ?” —“তাহা কিছু পাই নাই, কিন্তু ব্যাভিচার করিলেও তাহার সংসারের কিছু আসক্তি থাকিতে পারিত। কিন্তু ভাই, তাহাকে আমি একেবারে হারাইয়াছি। দিনরাত্র আমার সঙ্গে কথা বলিলেও যাহার কথা ফুরাইত না, এখন সে আমার সঙ্গে দু’টি কথা বলিয়াই বিরক্ত হয়। আমার আহার, জলখাবার, এ সকলই দাসীর কৃপার উপর নির্ভর করে। সে ভ্ৰমেও রান্না ঘরে যায় না । পূর্বে এটুকু খাও’, ‘ওটুকু খাও’ বলিয়া কত আদর করিয়া খাওয়াইত, ও তাহার নিজ হন্তের রান্না আমার কিরূপ লাগিত তাহা খুটিয়া খুটিয়া জিজ্ঞাসা করিত, এখন না খাইলেও একবার খোজ করে না । সারাদিন খাটিয়া সায়াহে বাড়ীতে আসিয়া শুনি, তিনি পূজা দিবার জন্য নান্নারের কালী-বাড়ীতে গিয়াছেন। আগে আমার শয্যায়। মলিনতার লেশমাত্ৰ থাকিত না, এখন তাহা St.