পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল ধূলা বালিময়। পূর্বে বাগানের ফুলগুলি তুলিয়া কত যত্বে আমার জন্যে মালা গাথিত, এখন সে পাঠ উঠিয়া গিয়াছে। কি বলিব ভাই, শত দিক দিয়া আমার সুখের কোঠায় শূন্য পড়িয়াছে। কখনও দেখি, সে কত যত্নে দাসীদের দিয়া বেণী সজা করিতেছে, মূল্যবান শাড়ীগুলি বাহির করিয়া তাহা পরিবার জন্য সুবিন্যস্ত করিয়া রাখিতেছে, গহনা পরিতেছে,-কিন্তু যখন অনেক রাত্রে আমার কাছে আসে, তখন একটা ভিখারিণীর বেশে আসিয়া শয্যার যে ধারটায় আমি শুই, তাহা যেন ঘূণায় ত্যাগ করিয়া অপর দিকটায় শুইয়া তখনই ঘুমাইয়া পড়ে। যাহার একটুখানি হাসি দেখিলে আমি হীরা, মণি, পান্না চাই না, আমার কাছে এত T দুর্লভ সেই হাসি, বাজাসনের পথে সে সখীদের সাথে যাওয়ার সময় কত স্মৃত্তির সহিত সেই হাসি অকাতরে বিলাইয়া যায়,-কিন্তু যে স্বামী সেই হাসিটুকু পাইবার জন্য একেবারে হাত পাতিয়া আছে, সেই চির-বঞ্চিত হতভাগ্যের জন্য সে তাহা কোথায় হারাইয়া ফেলিয়া আসে! কোন বহুমূল্য বস্ত্র বা অলঙ্কার দিলে পূর্বে সে কত গৌরব বোধ করিত, কিন্তু এখন ঘূণার সহিত মুখ বাকাইয় তাহা অতি তাচ্ছিল্য সহকারে কোথায় অযত্নে রাখিয়া দেয় ! বন্ধু বল, কোথায় গেল আমার সেই সোনার প্রতিমা, কোথায় গেল সেই প্ৰাণ-চালু সােহাগের দান, কােথায় গেল আমার সেই রূপসী রূপ-মঞ্জরী ? এ অয়স্কান্তমণির কঠিন বিগ্ৰহ কে আমাকে বদলাইয়া দিয়া গেল ? ইহারও শরীর সেইরূপ ফুলে গড়া, কিন্তু সেই ফুলের মত কোমল ভালবাসার সুরভিমাখা মনটি কোথায় > QV。