পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল গোড়া ব্রাহ্মণদের হাতের পুতুলের ন্যায় মন্ত্রী জাতি-ভেদের . কড়াকড়ি বেশী করিয়া করিতেছেন। গৰ্গ নিজের পূজা-অৰ্চা ও ধ্যান-ধারণা লইয়া ব্যস্ত। তিনি বর্ণাশ্রমের পক্ষপাতী হইলেও এতটা গোঁড়ামি কখনই পছন্দ করিতেন না। অপেক্ষাকৃত অল্প-শিক্ষিত ব্ৰাহ্মণ সভাসদের নিজেদের সহিত অপরাপর শ্রেণীর প্ৰভেদ দম্ভভরে ঘোষণা করিয়া দেশের সমস্ত মনুস্যকে তৃণবণ । মনে করিতেছেন। চাঁড়াল, ডোম, হাড়ি প্রভৃতি জাতিরা দরবারে প্রবেশ দূরের কথা, রাজধানীতে প্ৰবেশ করিতে হইলেও দরবারের হুকুমনাম দেখাইতে হয়। দেশীয় ভাষায় যে সকল যাত্রা ও ভাটিয়াল সুরের গান, দেবতাদের মঙ্গল গান, তরজা গান গাহিয়া রাজা-প্ৰজা সকলের তুষ্টি সাধন করিত, দরবারে সে সকল । দেশী ভাষার সঙ্গীত একেবারে অচল। “ছি, ছি”, “পথ ছাড়,” “কি ? আপদ” এই সকল কথা গোড়া ব্ৰাহ্মণদের মুখে লাগিয়াই আছে। হায়রে । এই দরবারের জন্য, এই ব্ৰাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের বিজয়ের জন্য না জনসাধারণ তাহদের বুকের রক্ত ঢালিয়া দিয়াছে ! ইহারাই না। রাজলক্ষ্মীর আসন কঁাধে করিয়া আনিয়া রাজপ্ৰাসাদে অধিষ্ঠিত করিয়াছে! আজি ইহাদের এই অবস্থা ! পল্লীব্যাপী তথাকথিত মড়কে তাহারা উৎসন্ন হইয়া যাইতেছে, রাজবৈদ্বোরা তো ফিরিয়াও একবার তাকাইতেছে না। দু’টা মিষ্ট কথাও তাহারা কোথাও পাইতেছে না। কেবল ঘূণা, কেবল উপেক্ষা ! এদিকে বাজাসন সম্বন্ধে যে সকল গুজব রটিতেছে, তাহার এক বৰ্ণও যদি সত্য হয়, তবে তাহারা নিজেরাই মঠটি গুড়া করিয়া ফেলিবে। S é (፩