পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল সহজিয়া গুরুরাই যদি তাহদের কুলবধূদিগকে বিগড়াইয়া থাকে, বাজাসনের তান্ত্রিকেরাই যদি তাহাদের সন্তানদিগকে ষড়যন্ত্র করিয়া হত্যা করিয়া থাকে, তবে তাহারা “সাব-দেওয়া-বাবা’র কোন কথা মানিবে না, সর্দারকেও গ্রাহা করিবে না । বাজাসনের ধৰ্ম্ম-সাধনা তাহারা সমূলে উৎপাটন করিয়া ফেলিবে ; ভণ্ডদের গেরুয়া বস্ত্ৰ তাহদের রক্তে রঞ্জিত করিবে। মানুষের সহিত মানুষের কিসের প্রভেদ ? বহু পূর্বে ত্রিশঙ্কু নামক চণ্ডাল এক ব্ৰাহ্মণ কন্যার সহিত তাহার সর্বশাস্ত্রে বুৎপন্ন শাৰ্দ্দলিকৰ্ণ নামক পুত্রের বিবহ দিতে চাহিলে ব্ৰাহ্মণ রাগিয়া উঠিয়াছিল। তাহাতে সে বলিয়াছিল-“তোমরা যে আমাদের অপেক্ষা বড়, তাহা প্রমাণ কর । তোমাদের দুই পায়ের জায়গায় তিনটি পা আছে, দেখাইতে পার ? দুই চক্ষুর জায়গায় কি তোমাদের তিন চক্ষু আছে, না মাথায় কোন দৈব আদেশের তকমা সহ তোমরা জন্মিায়াছ ? তোমরা কি আম-জামের মত ভেদাত্মক নিজের স্বতন্ত্র কোন রূপ লইয়া জন্মিয়াছ যে, তোমাদিগকে দেখিলেই বুঝা যাইবে, তোমরা কুমড়া নহ, অলাবু নহ। তোমাদের স্ত্রীরা কি ব্যাভিচার করে না এবং তাহার ফলে ভিন্ন শ্রেণীর রক্ত কি তোমাদের রক্তে মিশিয়া যায় নাই ? তোমরা কি একটা ভিন্ন হাড়িতে রাধিয়াই বড় হইয়াছ ? এ সকল বুজরুকী ছাড় । ত্ৰিশঙ্কুর একটা কথার উত্তর ব্ৰাহ্মণটি দিতে পারেন নাই । প্ৰাচীন বৌদ্ধ গ্রন্থে এই কাহিনী বর্ণিত আছে। এই সকল ব্ৰাহ্মণদৌরাত্ম্য, তান্ত্রিক-দৌরাত্ম্য, সহজিয়ার-দৌরাত্ম্য আমরা আর সহিব وي ) S