পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল যাইতেছে, डाशय्ङ তিনি অত্যন্ত চিন্তিত ও দুঃখিত। রাজবৈদ্যের সঙ্গে সর্দারের দেখাশুনা করাও এখন কতকটা দুর্ঘট । জাতের কড়াকড়ি বড়ই বাড়িয়া গিয়াছে। তথাপি তিনি কয়েকবার চেষ্টা করিয়া রাজবৈদ্য বিষ্ণু কবিরাজের সঙ্গে দেখা করিয়া তাহার পল্লীর দুরবস্থার কথা জানাইয়াছেন। বিষ্ণু কবিরাজ বলিলেন—“আমি ইহার কিছু কিছু শুনিয়াছি। গোড়া উচ্চ সমাজ আমার উপর নিষেধ-বিধি জারি করিয়াছেন, আমি তোমাদের পল্লীতে গেলে প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়া দরবারে ঢুকিতে হইবে। “বজ আঁটুনি, ফস্কা গেরো।” যতই কড়াকড়ি করিবে, ততই শুচি-বায়ু বেশী হইবে। নৈসগিক বিধান এত বাড়াবাড়ি সহে না । তবে আমি কি করিব ? এটা তো মড়ক বলিয়া আমার কাছে মনে হয় নাই। এ বৎসর এতগুলি লোক মরিল, কিন্তু জরাতুর, অঙ্গহীন, অতি বৃদ্ধ, ইহাদের একটিও মরে নাই। আশ্চর্য্যের বিষয়, একটি স্ত্রীলোকও মরে নাই, চণ্ডাল ভিন্ন অন্য কোন জাতির কেহও এই মড়কে মরে নাই। আমার মনে হয়, সাভারের কোন প্রতিহিংসার ষড়যন্ত্র ইল্লার মধ্যে আছে। বাছিয়া বাছিয়া কেবল কি যুদ্ধক্ষম, জোয়ান, চণ্ডালছেলেরাই মড়কের হাতে পড়িবে ! যে সকল লক্ষণের কথা শুনিয়াছি, কবিরাজী শাস্ত্ৰ মিলাইয় তাহার কোন লক্ষণ বা নিদান তো কোথাও পাইতেছি না । সর্দার, পল্লীটিকে আপনি যথাসম্ভব। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখিবেন। কোনরূপ বাসি বা পচা মাংস খাওয়া নিষেধ করিয়া দিন, এবং বাহিরের কোন লোককে সহজে গ্রামে ঢুকিতে দিবেন না। যদি কেহ আসিয়া পড়ে, তবে গুপ্তচর S (s