পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gyar ve RSSSF না, সেই স্থান আমার এত প্রিয় মনে হইয়াছে, তাহা তখন বুঝিতে পারি নাই। কিন্তু আমার সর্বদা কালিদাসের “রম্যানি বীক্ষ্য মধুৱাশ্চ নিশম্য শব্দান” শ্লোকটি মনে পড়িত।” উত্তরাংশ কজ্জল পূরণ করিয়া দিল,-“তৎচেতসি স্মরতি নূনং অবোধপূৰ্ব্বং ভাবস্থিরাণি জননান্তর। কাৰ্য্যানি।” শ্যামল বলিতে থাকিত, “সেই বনের দৃশ্য দেখিয়া আমার চক্ষের তৃপ্তি হইত না। শিশুপালের আম-বাগানে সিন্দুরে আমগুলি দেখিলে মনে হইত, যেন কতকাল ধরিয়া আমি তাহ খাইয়া আসিয়াছি। মাতৃস্তন্যের মত সেগুলি সুধা-মধুর। সেখানকার হাওয়া আমার বুক জুড়াইয়া দিত, সেখানকার টগর ফুলগুলির স্পর্শ আমাকে মায়ের স্নেহ-স্পর্শ মনে করাইয়া দিত।”-“বলিতে বলিতে শ্যামলের দুটি চোখে জল কাজল তাহার হাত ধরিয়া বলিল,-“ওকি ! তুমি কঁাদিতেছ কেন ?” গদগদকণ্ঠে শ্যামল বলিল—“এই শিশুপালের গড় ধরিয়া কঁাদিতে কঁাদিতে ক্ষুৎপিপাসাতুরা আমার মা একদিন রাজ্য-সুখ বিসর্জন দিয়া পদব্রজে চলিয়া গিয়াছিলেন। শুনিয়াছি, আমার মায়ের মত সুন্দরী সে অঞ্চলে আর কেহ ছিল না। রাজা হরিশ্চন্দ্রের বংশতিলক মহেন্দ্রের পুত্রবধু এই দুৰ্গম পাহাড়িয়া পথ য়া চলিবার সময় যেন কতবার সেই কোমল চরণ দু’টি ক্ষতয়াছিল। হায়-মাতৃচরণ ! আমি একবারও তাহ মস্তকে - SVR