পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল মনে হইতেছে, যেমন করিদ্ধাপমাতাকে হারাইয়াছি, তেমন করিয়া তোমাকেও হারাইব । এই হতভাগ্য স্নেহ-ভিখারীর অদৃষ্ট বড় মন্দ ; যাহার স্নেহ পাই, তাহাকেই হারাই।” । এই কথায় কাজল কঁাদিয়া উঠিয়া স্বামীর গলা জড়াইয়া ধরিল। হঠাৎ সৰ্প স্মৃষ্টি হইলে পথিক যেমন চমকিয় উঠে, তেমনই বিস্মিত হইয়া শ্যামল বলিল,-“একি করিতেছে কাজল ? এই এলাকা ব্ৰহ্মচর্য্যের নিজ স্থান, এখানে তোমার সঙ্গে আমার বেশী ঘনিষ্ঠতার বাধা আছে।” এই বলিয়া কোমল লতার মত কাজলের ভুজ-বন্ধন সে তাহার কণ্ঠ হইতে ধীরে ধীরে আলগা করিয়া দিয়া বলিল—“কজল, সত্যই কি তোমায় পাইব ? তুমি যে আমার কত তপস্যার ফল ! এই দুর্লভ ধন ভগবান আমাকে দিয়াছেন। আবার তো কাড়িয়া লইবেন না ?” কাজল বলিল,-“আজি কেন এমন করিতেছি ? চারিদিকে আকাশে বাতাসে পুলকের ঢেউ খেলিতেছে। চল, আমরা আনন্দের কথা বলি। তোমার দুঃখ দেখিলে যে আমার প্রাণ ফাটিয়া যায়, তাহা কি বুঝি না ?” সুৰ ধীরে ধীরে শু্যামল তাহার মাতার চিঠির দিকে অতি মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ্য করিয়া বলিল-“লক্ষ কোটি স্বর্ণমুদ্রা অপেক্ষাও এই চিঠিখানি আমার নিকট মূল্যবান। এই চিঠিতে আমার মাকে পাইয়াছি। যে স্নেহ মানুষ একবার মাত্ৰ পায়, যাহাতে একবার মাত্র ভগবান সদয় মূৰ্ত্তিতে দেখা দেন, এই চিঠিতে সেই দয়াময়ের দয়ার মূৰ্ত্তি আঁকা আছে। এই স্নেহের শেষ নাই। এই বাৎসল্য