পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল আমাকে হুতাশনে দেহ বিসর্জন, করিয়া প্ৰায়শ্চিত্ত করিবার Varan fra ” সন্ন্যাসী-“যুবরাজ, একি বলিতেছ? পৃথিবী যুগে যুগে এক একটা ভাবের নেশায় মাতিয়া যায়, তখন ভুলগুলি সত্য বলিয়া মনে হয় এবং যুগের হাওয়া এমনই প্রবলভাবে বহিতে থাকে যে, তাহা যে প্রতিরোধ করিতে চেষ্টা পায়, তাহা তাহার সামর্থ্যে কুলায় না এবং সে তথাকথিত বিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপহাসের পাত্ৰ । হয়। কিন্তু জানিও, সুৰ্য্যের গতি যেমন কোন একস্থানে যাইয়া থামে না, সেইরূপ এই সকল যুগের প্রাধান্যও অচল হইয়া তিষ্ঠিয়ু থাকে না । সহজিয়াদের মধ্যে অনেক দুষ্কৃতি, ধৰ্ম্মের নামে অধৰ্ম্ম এবং ব্যাভিচার চলিতেছে কিন্তু তথাপি তাহারা বড় কয়েকটি আদর্শের আভাস পাইয়াছে। তাহারা জাতিভেদ, শ্রেণীভেদ উঠাইয়া দিয়াছে এবং তাহদের কেহ কেহ শুধু রাগানুগা প্রীতির সন্ধান পাইয়াছে। কুমার, আমি দেখিতেছি, ইহাই ভগবানের শ্ৰীমুখের বংশী-ধ্বনি। যে এই সুর একবার শুনিয়াছে, সে কিছুতেই ইহা ভুলিতে পারিবে না। জোলা যেমন থলিয়া বুনিতে থাকে, কিন্তু যদি সে একবার মসলিন দেখে, তবে কখনই মোটা চট বুনিয়া তৃপ্ত হইবে না— আদর্শ তেমনই করিয়া লোককে পীড়ন করে। একবার যে দেখিয়াছে, সে মজিয়াছে। মৰ্কট আকিতে অ্যাকিতে যদি পরী অ্যাকিবার স্বপ্ন কাহারও মনে জাগে, তবে সে মন হইতে কিছুতেই সেই স্বপ্নের মূৰ্ত্তি ফেলিয়া দিতে পরিবে না। যুগ-চক্রের নেমি ঘুরিতে ঘুরিতে এমন এক Ned